-2019-01-30-01-59-59.jpeg)
দ্বিতীয় দিনের মতো আজ ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে প্রার্থীদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয়।
৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীদের সাক্ষাতকার চলার সময়ে প্রবেশ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রুমে প্রবেশ করেই শাহে আলম মুরাদকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কি মুরাদ তুমি কি এক নায়কতন্ত্র শুরু করেছ নাকি? কাউকে কোন কিছু জিজ্ঞাস করো না। আবার ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নাম পাঠিয়েছো-কাউকে কোন কিছু বলনি। কোন থানা ও ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কথা বলনি। এমনকি নগরের প্রেসিডেন্টকেও জানাওনি। তোমার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ কেন? এসময় মুরাদ কথা বলতে চাইলে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান উপস্থিত নেতারা।
এ প্রসঙ্গে শাহে আলম মুরাদ জানান ঘটনা তেমন কিছু না।
দলের সাধারণ সম্পাদক সাহেব আমার কাছে জানতে চান, কেন সভাপতির স্বাক্ষর নেইনি। আমি বলেছি, ইউনিয়নের নেতারা নাম পাঠিয়েছে সে কারণে সভাপতির স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়নি।
এদিকে এই প্রার্থী তালিকা নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের নামে নালিশ দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি আবুল হাসনাত। মঙ্গলবার দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে এই নালিশ দেন।
যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে যুবলীগের কাউকে প্রার্থী তালিকায় কেন্দ্রে নাম পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের নেতারা। পদ প্রত্যাশী নেতারা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন।
এদিকে এই প্রার্থী তালিকা নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের নামে নালিশ দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি আবুল হাসনাত। আজ মঙ্গলবার দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে এই নালিশ দেন।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রার্থী তালিকা তাকে না দেখানো এবং স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়।
ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে যুবলীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, আমাদের জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নাম পাঠানো হয়নি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ তার পছন্দের ব্যক্তিদের নাম পাঠিয়েছেন। কোন যোগ্যতার পরিমাপ করা হয়নি।জ অথচ যুবলীগ সবসময় মাঠে সক্রিয় থাকে।
মহানগর আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছেন, ১৮ টি ওয়ার্ডের মনোনয়ন প্রত্যাশী ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ছিলেন ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে মনির হোসেন, ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল আমিন নুরুল, ৬৯ নম্বরে হাজী সালাউদ্দিন আহমেদ, ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে বিপ্লব হোসেন, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল কালাম আজাদ, ৬২ নম্বর ওয়ার্ডে মোকতার হোসেন, ৫৮ নম্বর ওয়াডে আলমগীর হোসেন। শুধুমাত্র যুবলীগ করার কারণে তাদের নাম পাঠানো হয়নি। সে কারণে তারা হতাশ ও হতভম্ব বলে জানিয়েছেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, আমরা কোন নাম পাঠাইনি। নাম পাঠিয়েছে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: