ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

কোটিপতিতে ভরা হোয়াইট হাউস

Admin 1 | প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০১৭ ২০:৫৩

Admin 1
প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০১৭ ২০:৫৩

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর ও বাসভবনে কর্মরত অধিকাংশ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা লাখ লাখ ডলারের সম্পত্তির মালিক। শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউসে কর্মরত ব্যক্তিদের আর্থিক তথ্য-সংবলিত নথি প্রকাশিত হওয়ার পর এ কথা জানা গেছে। তবে এই বিবরণীতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের আর্থিক বিবরণ ও সম্পদের পরিমাণ প্রকাশ করা হয়নি।
নথিটিতে ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তার সম্পদ ও বেতনের পূর্ণাঙ্গ হিসাব তুলে ধরা হয়। এতে দেখা গেছে, ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ও তাঁর স্বামী জ্যারেড কুশনারের যৌথ সম্পদের পরিমাণ ২৪ থেকে ৭৪ কোটি মার্কিন ডলারের মধ্যে। গত বছর ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের মাধ্যমে ইভাঙ্কা ১০ থেকে ৫০ লাখ ডলারের মধ্যে আয় করেন। কুশনারকে আগেই হোয়াইট হাউসে পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টার পদ দিয়েছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি ইভাঙ্কাকেও অবৈতনিক সহযোগী নিয়োগ করেছেন।
নৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে হোয়াইট হাউসে কাজ করা ব্যক্তিদের আর্থিক অবস্থার বিবরণ পেশ করতে হয়। দায়িত্ব পালন শেষে আরেকটি হিসাব দিতে হয়। এতে বোঝা যায়, তাঁদের সম্পত্তি হঠাৎ করে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে গেছে কি না। এটা যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো ঐতিহ্য।
ইভাঙ্কার বাণিজ্য সাম্রাজ্যের আর্থিক আকার ১ থেকে ৫ কোটি ডলারের মধ্যে। ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে তাঁর শেয়ারের পরিমাণ আড়াই কোটি ডলার। স্বামী কুশনারের দেওয়া নথিতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জ্যারেড কুশনারের ৫৪ পৃষ্ঠার যে বিবরণী প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গেছে যে তিনি ২৬৭টি কোম্পানিতে যুক্ত ছিলেন। হোয়াইট হাউসে নিয়োগ পাওয়ার পর অনেকগুলো পদই ছেড়ে দিয়েছেন। গত বছর ব্যবসা থেকে লাখো ডলার আয় করেন কুশনার।
হোয়াইট হাউসের আরেক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননের সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ ডলারের বেশি। প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসারেরও রয়েছে আবাসন খাতের ব্যবসা। নির্বাচনের সময় রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির যোগাযোগ পরিচালক হিসেবে ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার পেয়েছিলেন তিনি। ট্রাম্পের উপদেষ্টা কেলিঅ্যান কনওয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় এবং এর আগে মিলিয়ে ৮ লাখ ডলার আয় করেছেন।
নথি প্রকাশের আগে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলেন, ব্যাপারটা এমন নয় যে কর্মকর্তাদের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ এমন। বরং তাঁরা যখন হোয়াইট হাউসে যোগ দেন, তখনই তাঁদের উল্লেখিত পরিমাণ সম্পদ ছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের যে আর্থিক বিবরণী দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ২৫ শতাংশ কর্মকর্তার আর্থিক বিবরণী ‘অত্যন্ত জটিল’। এটি ইঙ্গিত করে যে তাঁরা খুবই ধনী।
নিউইয়র্কভিত্তিক আর্থিক ও ডেটাসেবা প্রদানকারী এবং মিডিয়া কোম্পানি ব্লুমবার্গের হিসাব অনুযায়ী, ট্রাম্পের মন্ত্রিসভা ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: