ঢাকা | শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

যুবলীগ নেতার অটিস্টিক দের বিনামূল্যে বিনোদনের স্থল পরিদর্শন করলেন তথ্যমন্ত্রী

gazi anwar | প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:৩৩

gazi anwar
প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:৩৩

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব জায়গাতে অটিস্টিক দের যওয়ার আছে অধিকার
ধনী, গরিব, সুস্থ, অসুস্থ, সকল মানুষ মহান আল্লাহই তৈরী করেছে, ধনীব্যক্তির যেমন মন আছে ,তেমনি গরিব মানুষটির একই মন, সুস্থ সবল মানুষের যেমন আনন্দ উপভোগ করে ,প্রশান্তী অনুভব করে, তেমনিভাবে অটিস্টিক, ও প্রতিবন্ধীদের প্রশান্তী ও উচ্ছাস প্রকাশ করতে দেখলে যে কেউর মন ভরে যাবে, বিশেষ শিশুদের আনন্দ প্রকাশের ভংগিমা টা ভিন্নরকম। তা দেখলে যে কারোই মন ভরে উঠবে। এমন মহত মানবিক সাহসী কাজের উদ্যেক্তা মাহবুবুর রাহমান পলাশ অটিস্টিকদের বিনোদন প্রদান কার্যক্রম আন্তার্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ।

গতকাল রাত নয়টায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার  শিশুদের বিনোদ কেন্দ্র "শারিকা ফ্যান্টাসি ইমাজিং ওয়ার্ল্ড " পরিদর্শনে আসেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয়া তথ্যমন্ত্রী জনাব হাসান মাহমুদ, এখানে এসে মন্ত্রী অভিভূত হন বিশেষ শিশুদের বিনামূল্যে বিনোদ উপভোগ করতে দেখে, অটিস্টিকস, প্রতিবন্ধী শিশুদের আনন্দন তাদের চোখো উচ্ছাস করতে দেখে মন্ত্রী আবেগ আবলুত হয়ে পড়েন, তাদের চিৎকার, আনন্দ উল্লাস করতে দেখে মন্ত্রী নিজেও আনন্দিত হয়। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেল ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আমি এই প্রথম আসলাম, পত্রিকাতে পড়ে জানতে পাই প্রধান মন্ত্রী তনয়া সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অনুপ্রেরনায় এই আন্তর্জাতিক ইভেন্ট এ বিশেষ শিশু তথা অটিস্টিক দের বিনোদনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে, এবং নিজে একটু অবাক হচ্চ্ছিলাম। এতবড় একটি আন্তর্জাতিক আয়োজনে কিভাবে এটা সম্ভব, তাই কিছুটা কৌতুহল হয়ে এবং  বিশেষ শিশুদের প্রতি একটা টানের কারনে আমি পালাশের এ পার্কে কিভাবে অটিস্টিক শিশুরা বিনামূল্যে বিনোদন উপভোগ করে তা দেখতে এলাম, পালাশের এমন সাহসী মানবিক পদক্ষেপ সত্যি প্রসংশার যোগ্য, এতবর একটি আন্তর্জাতিক আয়োজনে এই বিশেষ শিশুদের নিয়ে কাজ করা গর্বের বিষয়, আমি আশাকরি পালাশের এ মহতি উদ্যোগ দেখে যেন সমাজের সবাই এদের প্রতি সদয় হয়, আপনারা যানেন প্রধান মন্ত্রীর তনয়া সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
অটিজম সচেতনতা নিয়ে সারা পৃথিবীতে কাজ কর এক "অটিজম আন্দোলন এ তিনও এক রোল মডেল। পড়ে মন্ত্রী আমাদের অধিকার প্ত্র 'পক্ষ হতে আটিসটিকদের মাঝে শীত বস্র বিতরন করেন ।

 এ পার্কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উপহার সমগ্রী  উপহার হিসাবে দেওয়া  ,যেমন সামর্থ্য অনুযায়ী প্রদান করে বই, খাতা, কলম, দুপুরের খাবার, আজকে দুইটি প্রতিস্তানের ১১০ জন শিশু কিশোরদের মাঝে "অধিার পত্রের "পক্ষ থেকে চাদর পরিয়ে দেন এই তথ্য মন্ত্রি ।
অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীরা প্রতিদিন আসছেন বিনোদন উপভোগ করতে মেলায় প্রবেশ করে বাম দিকে আসলে (বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের দিকে) দেখা যায় বাবা-মায়ের হাত ধরে উচ্ছল আনন্দে মেতে উঠছে শিশুরা। অটিজম শিশুদের আনন্দও দেখার মতো। বাবা-মা কে পাগল করে দিচ্ছে পার্ক কই? কখন মেলায় চড়বো।
কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা জানতে পেরেছেন এখানে একটি পার্কে অটিজম শিশুদের বিনামূল্যে বিভিন্ন রাইডে চড়তে দেয়া হয়, যেখানে অন্য স্থানে অটিজম ও প্রতিবিিন্ধ শিশুদের রাইডে উঠায় বারণ। তাই তারা সেই পার্কের দিকেই যাচ্ছেন।
সারিকা ফ্যান্টাসি ইমাজিং ওয়ার্ল্ড পার্কে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের চাইতে ভীড় যেন একটু বেশি। ডাসওয়াব ও ফেস সেভওয়ার,  নামের দুইটি অটিস্টিক ইনিসটিউট থেকে প্রায় ১১০ জনের মতো অটিস্টিকস বিনোদন উপভোগ করতে আসে । হাসি আনন্দে মেতে উঠে ভিন্নধর্মী এ শিশুরা।
পার্কটির প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুর রহমান পলাশ জানান, শিশুদের নির্মল হাসিই তার প্রেরণা। তিনি বলেন, পার্কে অটিজম ও প্রতিবন্ধি শিশুদের ফ্রি রাইডে চড়ানো হয় তা আগে অনেকেই জানতেন না। ধীরে ধীরে প্রচার প্রচারণার কারণে অনেকেই জানতে পেরে আসছেন এখানে। দীর্ঘদিন ধরেই অটিজম ও প্রতিবন্ধিদের নিয়ে কাজ করেন জানিয়ে পলাশ বলেন, আমি মানবতার জন্য কাজ করি। অটিজম শিশুরা অন্যান্য শিশুর মতো বিনোদনের সুযোগ পায় না বলেই তাদের জন্য আমি সুযোগ করে দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তনয়া সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের আদর্শ প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে এ কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: