ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
বাড়িওয়ালাদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কেমিক্যাল গুদাম, গুদামের মালিক, তিনি হয়তো থাকেন গুলশানে।

চক বজারে আগুন মৃতের সংখ্যা ৭৬

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:০৩

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:০৩

আগুনে ভয়াবহতায় ক্ষতি হয়নি মসজিদ 

রাজধানীর চকবাজারে লাগা ভয়াবহ আগুনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চুড়িহাট্টায় স্থাপিত ফায়ার সার্ভিসের অস্থায়ী তথ্য কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে একথা বলা হয়েছে।
গতরাতে ওই ভবনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় অর্ধশতাধিক আহত হয়। সকল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত এই ঘটনায় আহত ৪১ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক আলি আহমেদ বলেন, গতকাল রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে হাজী ওযাহেদ মেনশনের পাঁচ তলা ভবনের নিচ তলায় রাসায়নিক গুদামে আগুন ধরে যায়।
তিনি আরো বলেন, আগুন দ্রুত একটি কমিউনিটি সেন্টারসহ আরো তিনটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। দমকল বাহিনীর ১৩টি ফায়ার স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে রাত তিনটির দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।
অগ্নিকা-ের কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
আহতদের যথাযথ চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এই ঘটনায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।


চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয়দের সচেতন হতে হবে। এ ধরনের বিপর্যয় রোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।


তিনি বলেন, ‘বাড়িওয়ালাদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কেমিক্যাল গুদাম করা হয়েছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে। যিনি এ গুদামের মালিক, তিনি হয়তো থাকেন গুলশানে। কিন্তু দুর্ঘটনায় মারা যায় সাধারণ মানুষ।’

তিনি আরও বলেন, আবাসিক এলাকায় এ ধরনের কোনো কোম্পানি যেন থাকতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ফায়ার কিন্তু এগুলো অনুমোদন দেয় না, যারা দেয় তাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ফায়ার রাস্তাও তৈরি করে না। আজ আমরা আধুনিক একটি গাড়িও উদ্ধার কাজে ব্যবহার করতে পারিনি। যদি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়, তাহলে কী হবে?’

শাকিল নেওয়াজ আরও বলেন, ‘নিচে হোটেল, হোটেলের উপরে কেমিক্যালের গোডাউন, তার উপরে মানুষের বসবাস। এভাবে তো চলতে পারে না। কেমিক্যালের কারণে বারবার আগুন জ্বলে উঠছে, নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আগুন নেভানোর জন্য যে পরিমাণ পানির দরকার, তাও পাওয়া যাচ্ছে না। এর চেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা আর কী হতে পারে’- প্রশ্ন রাখেন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: