
শিক্ষা,২৬ এপ্রিল(অধিকারপত্র): শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর এমপিওভুক্তির কার্যক্রমকেই প্রথম অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা জানান তিনি।
সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গতবছরে যেটি করা হয়েছিলো, যেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও ছিল না, সেসব প্রতিষ্ঠানের যারা এমপিওপ্রাপ্তিতে কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা অর্জন করেছে আমরা তাদের যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করে অনলাইনে আবেদন জানাতে বলি। এরকম সাড়ে নয় হাজার এ তালিকায় রয়েছে। এমপিওর ব্যাপারে ইতোমধ্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমার কার্যালয়ে যেসব কাজের তালিকা আমি করেছি তার মধ্যে প্রথমে রয়েছে এমপিও কার্যক্রম।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল বুধবার সচিবালয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করছি, মাসখানেকের মধ্যে এমপিওভুক্তির ঘোষণা করতে পারব।’
নতুন করে কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে—এর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য চারটি সূচকের ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে থেকে আবেদন চাওয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। এই সংখ্যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। সেখান থেকে মন্ত্রণালয় এখন যোগ্য প্রতিষ্ঠান ঠিক করছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি মাসে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অংশ (মূল বেতন ও কিছু ভাতা) পেয়ে থাকেন। এমপিও নয়—এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। এরপর আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: