
মে মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়।
এছাড়া আগামী কয়েক দিন সূর্যের তেজ আরও কিছুটা বাড়বে অনেক গরম।
প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গে সাগরের লোনা জল কিছুটা টগবগ করছে। এ থেকেই হয়তো বৃষ্টি বা ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মে মাসের পূর্বাভাসে এমনটি বলা হয়েছে।
বৈশাখের শুরু থেকে সূর্যের তেজ যেন বেড়েই চলেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এভাবে চলতে থাকলে আগামী মাসের শুরুতে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
মে মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গ্রীষ্মের প্রচ- দাবদাহের কারণে এ মাসের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের ফলে ঘূর্ণিঝড়ও সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ বিভিন্ন অঞ্চলে কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে।
একই সঙ্গে দাবদাহের কারণে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সবাইকে কিছুটা সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, এপ্রিল মাসের শেষ দিকে মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
নিম্নচাপটি শক্তিশালী হয়ে ২৮, ২৯ ও ৩০ এপ্রিলের পর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
এরপর সেটি আগামী ৩ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের খুলনার যে কোনো স্থান দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: