
ভারত শাসিত কাশ্মীরে উপ-নির্বাচন চলাকালে বিক্ষোভকারীদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষে আটজন নিহত ও আরো অনেকে আহত হয়েছে।
রোববার শ্রীনগরের কাছে ভোট কেন্দ্রে জনগণ হামলা চালানোর পর আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছুঁড়লে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে। ভারত শাসনের প্রতিবাদ জানাতেই তারা এসব ভোট কেন্দ্রে হামলা চালায় বলে জানা যায়।
সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা এ নির্বাচন বয়কটের আহবান জানিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দশকের পর দশক ধরে চলা ভূ-খন্ডগত বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ কাশ্মীর ভূ-খন্ড।
ভারতের অভিযোগ কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী চেতনাকে পাকিস্তান উস্কে দিয়ে আসছে। তবে ইসলামাবাদ দিল্লীর এ অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখান করে আসছে। এক্ষেত্রে উভয় দেশই কাশ্মীর তাদের ভূ-খন্ডের অংশ বলে দাবী করে আসছে এবং এর বিভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে শীর্ষ জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ায় গত বছরের জুলাই থেকেই এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
খবরে বলা হয়, রোববারের উপ-নির্বচনে মাত্র ৭ শতাংশ ভোট পড়ে। তিন দশকের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা সহিংসতা চলাকালে দু’টি বিদ্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সোমবার এ অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কিছু রাস্তা বন্ধ এবং কয়েকটি ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে।
ভারত শাসিত কাশ্মীরের বিদ্রোহী গ্রুপগুলো কয়েক দশক ধরে স্বাধীনতার, না হয় পাকিস্তানের সাথে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার দাবী জানিয়ে আসছে।
ভারত সরকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের অংশ হিসেবে এ অঞ্চলে অতিরিক্ত ২০ হাজার সৈন্য পাঠায় এবং শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টায় ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করে দেয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: