ঢাকা | শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সংসদের পাশেই চলছে প্রতিবন্ধীদের সাথে প্রতারণা : লাইভে ব্যারিস্টার সুমন

gazi anwar | প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০১৯ ০২:৩২

gazi anwar
প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০১৯ ০২:৩২

 

রাজধানী ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে জাতীয় সংসদের পাশেই প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের জন্য উম্মুক্ত খেলার মাঠের সাইনবোর্ড থাকলেও সেটা উম্মুক্ত নেই। চতুর্পাশে লোহার বাউন্ডারি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে এবং মাঠে জমে আছে বিশাল বিশাল ঘাস ও বিভিন্ন লতাগুল্ম।

দীর্ঘদিন ধরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নামে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উন্মুক্ত খেলার মাঠ’ এমন লেখাযুক্ত সাইনবোর্ড থাকলেও মাঠ নেই উন্মুক্ত। আবার ভেতরে ঢোকার মতো কোনো পরিস্থিতিও নেই।


মিরপুর সড়কের পাশে জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম পাশে (আসাদগেট সংলগ্ন) প্রতিবন্ধীদের এই খেলার মাঠ নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।

আজ সোমবার (১৫ জুলাই) সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জানাজায় গিয়ে সাইনবোর্ডটি নজরে আসে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের।

পরে সেখানে ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এসময় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বাংলাদেশের অন্য জায়গায় দখল হয়েছে হোক, কিন্তু সংসদ ভবনের মতো জায়গায় এই সাইনবোর্ডটা রাখলেন কেন? আর সাইনবোর্ড যদি রাখলেনই তবে প্রতিবন্ধীদের জন্য একটা মাঠের ব্যবস্থা করলেন না কেন? আমি এই প্রশ্নটা সবার কাছে করতে চাই।


তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় সাইনবোর্ড দিয়ে ব্যবসা চলে, আমরা বিরক্ত হয়ে বলি এগুলো ঠিক নয়। কিন্তু মহান সংসদ ভবনের সামনে এমন একটা সাইবোর্ড আছে অথচ প্রতিবন্ধীদের জন্য এখানে কোনো মাঠই নেই। তাহলে এই জিনিসটা দেখতে খারাপ দেখায়। কারণ সংসদ ভবনে আমাদের সকল নেত্রীবৃন্দ থাকেন, যারা আমাদের জন্য পূজনীয়। যাদেরকে হাতে আমরা বাংলাদেশের ভাগ্য তুলি দিয়েছি।

প্রতিবন্ধীদের সাথে প্রতারণা চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংসদ ভবনের পাশেই যদি প্রতিবন্ধীদের সাথেই যদি প্রতারণা করা হয় তাহলে এই দেশ কোনোদিন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হতে পারে না।

এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা প্রধানমন্ত্রী তনয়া শেখ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালে প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি উন্মুক্ত খেলার মাঠ ঘোষণা করেন। পরে এ কাজের জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের প্রাচীরঘেঁষে আসাদগেট সংলগ্ন সংসদ ভবনের শেষ সীমানায় চার একরের একটু বেশি জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সেটি এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া কোনো ধরনের পরিচর্যা না করায় ওই খোলা জায়গাটি বর্তমানে জঙ্গল ও আগাছার স্তুপে পরিণত হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: