ঢাকা | শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

৩০ হাজার টাকা হলে একটি কৃএিম পারে লাগানো যাবে আয়শার

odhikar patra | প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০১৯ ২১:৩৭

odhikar patra
প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০১৯ ২১:৩৭

চার বছর আগে দুই ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের চাপায় ডান পা থেঁতলে যায় আয়েশা খাতুনের। চিকিৎসার পর ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলেন চিকিৎসকরা। এরপর থেকেই ক্রাচ দিয়ে চলাফেরা করতে শুরু করে মেয়েটি। চিকিৎসকরা একটি কৃত্রিম পা লাগানোর পরামর্শ দেন। তবে অভাব-অনটনের কারণে একটি কৃত্রিম পা লাগানোর টাকা জোগাড় করতে পারেননি আয়েশার বাবা।

সাতক্ষীরার তালা সদরের আগোলঝাড়া গ্রামের বাসিন্দা আয়েশা খাতুন। বর্তমানে আগোলঝাড়া দাখিল মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে সে। তার বাবা ওমর আলী শেখ দিনমজুর। একটি ধানের চাতালে কাজ করেন।

মাদরাসাছাত্রী আয়েশা খাতুন  জানায়, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ালেখা করার সময় পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া থানার চুকনগর এলাকায় দুটি ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের মাঝখানে চাপা পড়ে তার ডান পা থেঁতলে যায়। পরে চিকিৎসকরা পা কেটে বাদ দেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন- একটি কৃত্রিম পা লাগালে সে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবে। তবে তার দিনমজুর বাবার পক্ষে আজও একটি পা লাগানোর ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি।

আয়েশা বলে, আগোলঝাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৩৩ পেয়ে পাস করেছি। বর্তমানে আগোলঝাড়া দাখিল মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছি। ক্রাচ দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। এভাবে চলাফেরা করতে খুব কষ্ট হয়। আপনারা আমার একটি কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করেন। খুব খুশি হবো।

আয়েশার ফুফা মোড়ল শাহিন উদ্দীন বলেন, বিভিন্ন মানুষদের কাছে সহযোগিতার জন্য গিয়েছি, কিন্তু কোনো ফল হয়নি। সাভারের সিআরপি হাসপাতালে কথা বলেছি, সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কৃত্রিম পা লাগাতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে। টাকা জোগাড় না হওয়ার কারণে এখনো পা লাগানো হয়নি।

তিনি আরও বলেন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে সহযোগিতার জন্য যাওয়া হয়েছিল। তারা জানিয়েছেন দেড় থেকে দুই হাজার টাকা সহযোগিতা দেয়া হবে। তবে সেটিও মৌখিকভাবে বলেছেন। আবেদন করেও কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি।

 
 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: