ঢাকা | মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২
ভারত সরকার কাশ্মীর এর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করল। সর্বএ নিন্দা

ভারত ও পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের পৃথক রাষ্ট্রের অধিকার তাদের রাজনৈতিক

gazi anwar | প্রকাশিত: ৬ আগস্ট ২০১৯ ০৪:৫৭

gazi anwar
প্রকাশিত: ৬ আগস্ট ২০১৯ ০৪:৫৭

অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে সর্বত্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় শুরু হয়েছে। কাশ্মীরি জনগণ, মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সচেতন মহল।

ভারতীয় সংবিধানের যে অনুচ্ছেদের ফলে জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা পেয়ে আসছিল, তা বাতিল করে কেন্দ্রের শাসনের আওতায় আনা হলো। ফলে বদলে গেল ৬৯ বছরের ইতিহাস। জম্মু কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কীত সিদ্ধান্তটা নিয়ে মুসলমানদের চরমভাবে ক্ষুব্ধ করল মোদি সরকার। রাজ্যকে দুই টুকরো করা হলো । ফলে ভূস্বর্গ হিসেবে পরিচিত এই উপত্যকায় থাকবে না আর আলাদা সংবিধান, আলাদা পতাকা

 বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত ৩৫ হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট পরিসেবা । ইতোমধ্যে পর্যটক শূন্য করা হয়েছে গোটা অঞ্চল। সর্বত্র বাজছে সেনাদের বুট আর সাইরেনের শব্দ। ফলে চরম আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে রাজ্যটি। এমতাবস্থায় ভারতীয় বাহিনী কর্তৃক গণহত্যা চালানো হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কাশ্মীরি এক নেতা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ কাশ্মীর ভেঙে দুই টুকরা করা হলো, কাশ্মীরের স্পেশাল স্ট্যাটাস কেড়ে নেয়া হলো, কিন্তু ওআইসিসহ মুসলিম বিশ্ব নীরব!’’

ফেসবুকে প্রতিক্রিয়ায় আবু আনাস লিখেছেন, ‘‘অতঃপর, যুদ্ধ চাই যুদ্ধ,লড়াই করা ছাড়া কোনো জাতি স্বাধীনতা বিজয় অর্জন করতে পারেনি। স্বাধীনতা কেউ চামচে করে তুলে দেবেনা, তা লড়াই করে ছিনিয়ে আনতে হয়, এখনই সময় মুসলিম উম্মাহর জেগে ওঠার।

সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘এইটার মাধ্যমে ভারত সরকার কাশ্মীর এর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করল। দেশভাগের পর তৎকালীন কাশ্মীর এর মহারাজা হরিসিং ভারতে এর সাথে অর্ন্তভূক্তির সময় এসব শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন, যাতে ভারত সরকার কাশ্মীরকে শোষণ করতে না পারে। চুক্তি হয়েছিল যদি কোন কারণে কাশ্মীর এসব সুবিধা থেকে বাদ পড়ে, তাহলে ভারতে সাথে কাাশ্মীর এর অর্ন্তভূক্তি চুক্তি বাতিল হবে। কাশ্মীর ভারত থেকে আলাদা হয়ে যাবে। যদিও ভারত সরকার গায়ের জোরে এসব সুবিধা তুলে নিয়েছে, এখন দেখার বিষয় তারা আইনগতভাবে কতটা এগুতে পারে।’’

‘‘এখন কাশ্মীরিদের স্বাধীনতার ডাক দেওয়ার সুযোগ এসেছে, আর ইতিহাস সাক্ষী স্বাধীনতাকামীদের কেউ রুখতে পারেনি’’ লিখেছেন হাজী আব্দুল মান্নান স্বপন।

মো. মুরাদ হোসাইনের মন্তব্য, ‘‘মুসলিমরা ভারতের অন্য রাজ্যর মত হিন্দুদের হাতে মার খাবে । ভারত সরকারের মূল লক্ষ মুসলিমদের মৌলিক আধিকার হরণ করা এবং হিন্দুদের সুবিধা করে দেওয়া।’’

এস আলম মানিক মনে করেন, ‘‘হিন্দুদের রাজত্ব কায়েম করতেই এত কিছু।এখন চাইলে বাহিরের যে কেউ জায়গা কিনতে পারবে,সরকারি চাকুরি করতে পারবে আর ইসরাইলিদের মত দখলও করতে পারবে।’’

‘‘এটা এখন ভারতসহ সকল প্রকার মানুষের কাছে পরিষ্কার যে মোদি সরকার ক্ষমতাই আসছে শুধুমাত্র জাতিগত বিভেদ ও ধর্মীয় উসকানিমূলক বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য। আর যার জন্য পুরো ভারতবর্ষে এখন অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়েছে এবং এর জন্য ভারতবাসী আস্তে আস্তে একটা যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’’ লিখেছেন খান শরিফ।

মো রিয়াজুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘গো রক্ষকরা এবার প্রমাণ করে ছাড়লো কাশ্মীরের জনগণ ওদের শত্রু পক্ষ। হয়তো শত সহস্র কাশ্মীরি হত্যা করা হবে, রক্তাক্ত রাজপথে কালো বুটের ছোপ ছোপ দাগ পড়বে। একদিন ওটা হয়তো মুছেও যাবে। কিন্তু কাশ্মীরিদের হৃদয়ের দাগ ? ওটা থেকে যাবে অনন্তকাল। ওটা গাঢ় হতে গাঢ়তর হবে। মোদি যদি মনে করেন জোর করে মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা দমন করবেন তবে ভুল। আর ভুল পথে হাঁটলে ওই আকাঙ্ক্ষা কেবলই তীব্রতর হবে তাই নয় ওটা ত্বরান্বিত হবে। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান অবশ্যই করতে হবে।’’

রিমন লিখেছেন, ‘‘কাশ্মীর দিয়েই উপমহাদেশে যুদ্ধের সূচনা হবে , যার নাম গাঁজাওতুল হিন্দ , আর এইটা ভারত পাকিস্তানের সবাই জানে ! এটা নিয়ে হাদিস আছে।’’

ফেসবুক ব্যবহারকারী অমিত কুমার মনে করেন, ‘‘এই সিদ্ধান্ত উপমহাদেশকে আবার অস্থিতিশীল করবে। আমাদের সব অর্জন নস্ট হবে। যুদ্ধ বেধে যেতে পারে স্বল্প মাত্রায়। ঈশ্বর না করুন, আমার বাংলাদেশ এর শিকার না হয়।’’

‘‘৩৭০ অনুচ্ছেদ আলোচনা ছাড়া একতরফা ভাবে বিলুপ্ত করার অধিকার ভারতের নাই।কাশ্মীরের আজাদি'র সংগ্রাম মূলত আজ থেকে শুরু হলো’’ লিখেছেন বোরবাদ খান।

মামুনুর রশিদ লিখেছেন, ‘‘ধর্মীয় বিবেচনায় নয় ভারত ও পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের পৃথক রাষ্ট্রের অধিকার তাদের রাজনৈতিক। স্বাধীনতাগামী জনগোষ্ঠীকে কখন দমন-পীড়নের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা বৃথা হবে।’’

‘‘অভিশপ্ত মিয়ানমারের মতই আরো একটি "মুসলিম গণহত্যা" চালানোর প্রস্তুতি চলছে - দেখার কেউ নেই.’’ এমন আশঙ্কা
মেহজাবীনের।

নিয়াজ বিন তায়েব দাবি জানিয়েছেন, ‘‘কাশ্মীরে গণভোট হোক,জোর করে কারো ঘাড়ে চেপে না বসে তাদের সিধান্ত নিতে দেওয়া হোক। দেখা যাক কি চায় কাশ্মীরীরা?’’

ইফাত আরা লিখেছেন, ‘‘২০১৯ সালে কাশ্মীর ভারতের অধীনে চলে গেছে তাতে কি!? ২০৫০ সালের ভীতরে গোটা ভারত মুসলমানের অধীনে চলে আসবে ইনশায়াল্লাহ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: