ঢাকা | মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে চীন ছাড়া কাউকে পাশে পেল না

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০১৯ ২২:৫৪

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০১৯ ২২:৫৪

 
 
কাশ্মীর নিয়ে চীন ছাড়া কাউকে পাশে পেল না পাকিস্তান
ফাইল ছবি

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চীন ছাড়া পাকিস্তানের আবেদনে সাড়া দিল না কেউই। ইসলামাবাদের পরমবন্ধু বেইজিং ছাড়া বাকিরা জানিয়ে দিল, কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পাকিস্তানকে খোলাখুলি সমর্থন করেছে চীন। কিন্তু বাকি চার স্থায়ী সদস্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতের।

তারা মনে করে, ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় কাশ্মীর।      

চীনের আবেদনে সাড়া দিয়ে কাশ্মীর নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হয়েছিল বৈঠক।

প্রায় ৭৩ মিনিট ধরে চলে আলোচনা। ওই বৈঠকে ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক ছিল না, ফলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নথিতে ঠাঁই পাবে না। বৈঠকে চীন ছাড়া জাতিসংঘের বাকি চার স্থায়ী সদস্য রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতের। তারা মনে করে, কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
 

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিনস্কি বলেন,'ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের স্থিতাবস্থার পক্ষে রাশিয়া। ১৯৭২ সিমলা চুক্তি মেনে দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা উচিত। আমরা ভারত-পাকিস্তানের বন্ধু। এর পিছনে কোনো উদ্দেশ্য নেই। নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের সুসম্পর্কের পক্ষে আমরা আলোচনা করব। ' 

কিন্তু জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে পাকিস্তানের সঙ্গ দিয়েছে বন্ধু চীন। তারা জানিয়েছে, এক তরফাভাবে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করেছে ভারত। যদিও বেইজিংকে নয়াদিল্লি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের পরিবর্তনে আন্তর্জাতিক সীমান্তের সঙ্গে কোনও অদলবদল করা হয়নি। জাতিসংঘের ভারতের প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিনও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, অনুচ্ছেদ ৩৭০ রদ ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সেখানকার মানুষের উন্নয়নের জন্যই প্রত্যাহার করা হয়েছে।  

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন ইমরান খান। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়ে দিয়েছে বৈঠকে। কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলে মনে করে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সও।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা চেয়ে ৬ অগাস্ট চিঠি দেন পাক বিদেশমন্ত্রী কুরেসি। পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায় তাদের বন্ধু রাষ্ট্র চীন। বেইজিংয়ের আবেদনে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সম্মত হয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: