ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
যুববন্ধু সম্রাট

যুববন্ধু সম্রাট ই ঢাকার অবিসংবাদিত নেতা।

odhikar patra | প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:৩২

odhikar patra
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:৩২

গাজী মুনির ইসলাম  বিশেষ প্রতিবেদক  

ঢাকার অবিসংবাদিত নেতা হবেন সম্রাট?
বাংলাদেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হলো রাজধানী ঢাকা। ঢাকার রাজনীতির মাঠ যে দলের নিয়ন্ত্রণে থাকে তারাই মূলত ক্ষমতার কাছাকাছি চলে যায়। ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি যে সরকার বিরোধী আন্দোলন করেছিল সেটা মূলত ব্যর্থ হয়েছিল ঢাকার দখল নিতে না পারায়। এজন্যই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ঢাকায় শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এ জন্য দরকার এমন একজন দক্ষ নেতা যিনি সমগ্র ঢাকার জনগণকে একাট্টা করতে সক্ষম।
স্বাধীনতাত্তোর ঢাকার রাজনীতিতে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকজন নেতা আবির্ভূত হয়েছেন এবং সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন। একসময় ঢাকায় আওয়ামী লীগের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন গাজি গোলাম দস্তগীর। ৭৫-এর পর ঢাকার দখল নেন বিএনপির সাদেক হোসেন খোকা, এরপর কিছুদিন মির্জা আব্বাসের দখলে ছিল ঢাকার রাজনীতি।
আওয়ামী লীগ একসময় ঢাকার সংগঠন গোছানোর জন্য মোস্তফা মহসিন মন্টুর ওপর নির্ভরশীল ছিল। মন্টু দল ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ঢাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্ব নেন মোহাম্মদ হানিফ। আওয়ামী লীগের জনসভায় লোকজড়ো করা থেকে শুরু করে সরকারবিরোধী আন্দোলন বেগবান করতে অসামান্য ভুমিকা রেখেছিলেন প্রায়াত মোহাম্মদ হানিফ। তার মৃত্যুর পর ঢাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়ার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
এখন ঢাকার রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো অবিসংবাদিত কোন নেতা চোখে পড়ছে না। যেটা ঐতিহ্যবাহী দলটিকে ভবিষ্যতে মহাসংকটে ফেলে দিতে পারে। এই অবস্থা থেকে উত্তোরণে এক্ষুণি এমন একজনের হাতে ঢাকার রাজনৈতিক নেতৃত্ব তুলে দেওয়া উচিত যার রয়েছে একাধারে তুখোড় সাংগঠনিক দক্ষতা, বিপুল জনপ্রিয়তা এবং আন্দোলন-সংগ্রামে লোক জড়ো করার অসামান্য ক্ষমতা।
প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমানে ঢাকার রাজনীতিতে এমন সব যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব কে আছেন, যিনি হবেন আগামী দিনের ঢাকার অবিসংবাদিত নেতা? মায়া পরবর্তী যুগে নেতৃত্বশূন্য ঢাকার রাজনীতিতে বেশ কয়েকজন নেতা নিরবেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এরকম একজন নেতা হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। ঢাকার যেকোন জনসমাবেশে লোক যোগাড় করার দায়িত্ব এখন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের উপর বর্তাচ্ছে। ঢাকায় সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ ও জনসমাগমের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ক্রমশ সম্রাটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ঢাকায় এখন আওয়ামী লীগের যে কোন সমাবেশ মানেই সম্রাট বাহিনীর বিপুল উপস্থিতি। দিনেদিনে ঢাকায় বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণের ছিন্নমূল, অসহায়, হৃতদরিদ্র মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন সম্রাট, জনগণ তাকে ভালোবেসে ‘যুববন্ধু’ উপাধি দিয়েছে। কাকরাইলে অবস্থিত যুবজাগরণ অফিসের নিয়মিত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা, মতবিনিময় করেন সম্রাট। তাদের দুঃখ-দুর্দশায় কাছে থেকে সমাধানের চেষ্টা করেন। ঈদ ও বিভিন্ন উৎসবে নেতাকর্মী ও হৃতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করে সকলের পাশে থাকার সাধ্যমতো চেষ্টা করে চলেছেন ঢাকার আগামী দিনের অবিসংবাদিত এই যুবনেতা। জনগণও সম্রাটের ভালোবাসায় সিক্তহয়ে তাঁর ডাকে ঝাপিয়ে পড়েন পঙ্গপালের মতো।
যুবজাগরণ অফিসের সামনে রিক্সাচালক, ছিন্নমূল,অসহায় মানুষের জন্য বিনামূল্যে রাতের খাবারের ব্যবস্থা করে চমক সৃষ্টি করেছেন ঢাকার রাজনীতির এই ভাবি কাণ্ডারী। অসহায় মানুষের সুখ-দুৎখের অংশীদার হতে দৈনিক দেড় হাজার ছিন্নমূল মানুষকে বিনামূল্যে রাতের খাবার সরবরাহ করে চলেছেন ‘যুববন্ধু’ সম্রাট।
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট নিজের গৃহীত এই পদক্ষেপের বিষয়ে বিডিটাইমসকে বলেন, “আমাদের মতো সুবিধা বঞ্চিত মানুষদেরও একটু ভালো খাবার খেতে মন চায়। কিন্তু তারা একবেলা ভালো খাবার খেতে পারে না। সেজন্য তাদের জন্য একবেলা ভালো খাবারের ব্যবস্থা করি। প্রতি রাতে এখানে দেড় হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।”
সম্রাটের আগে ঢাকায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য এরকম ব্যতিক্রমি আয়োজন নিয়ে কোন নেতা পাশে দাঁড়িয়েছে এমনটা জানা যায় না। ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট শুধু রাজনীতিই করেন না, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দুঃখও বোঝেন। তারা কিভাবে আরেকটু ভালো থাকতে পারে সেই চেষ্টায় নিরন্তর কাজ করে চলেছেন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত এই কর্মী।
আগামী দিনে ঢাকার নেতৃত্ব দিতে চান কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে থাকতে চাই। নেত্রী আমাকে ভালোবাসেন এটাই আমার বড় পাওয়া। নেত্রী যোগ্য মনে করে কোন দায়িত্ব দিলে সেটা পালনে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।”
আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডেও আগামী দিনের ঢাকার নেতৃত্বে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের নাম আলোচিত হচ্ছে। সম্রাটও ইতোমধ্যে সাংগঠনিক তৎপরতা ও দক্ষতা দিয়ে ঢাকার মানুষের মনজয় করে চলেছেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে এখন একটাই চাওয়া আগামী দিনে ঢাকার অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠবেন তাদের প্রিয় নেতা ‘যুববন্ধু’ ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: