ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
১/১১ প্রেক্ষাপটে ছাত্রলীগের রাজনিতিতে সক্রিয় থেকেও

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা চলমান আওয়ামী রাজনীতিতে উপেক্ষিত

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০১৯ ২০:৪৬

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০১৯ ২০:৪৬

মোঃ জাহিদ হোসেন জুয়েল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার এতিম সন্তান হিসেবে যার জন্ম হয়েছিল পিতার মিত্যুর মাস খানিক পরে ভাই বোন বলতে সে আর তার কেবল মা ,উত্তর যাত্রাবাড়ী ৪৮ নং ওয়ার্ড ফৈইজউদ্দিন মাদবর এর নাতি হিসেবেই তার বেড়ে উঠা,ছাত্র জীবন থেকে তার রাজনীতি শুরু স্থানীয় ওয়ার্ড এর প্রতিষ্ঠাতা ছাত্রলীগ এর সভাপতি হিসেবে,এরপরে সে বৃহত্তর ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এর পরে কবি নজরুল কলেজ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ করে নির্বাচিত হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পরে পরে শেখ হাসিনার বয়সের টাইম লাইনের প্যাচে সাবেক হওয়া, আর পরে বৃহত্তর ডেমরা থানা আওয়ামীলীগের কারযকরী সদস্য নির্বাচিত হন,এর মাঝে জোট সরকারের আমলে বিএনপি জামাত জোটের পুরো আমলটাই থাকতে হয়েছে পরিবার পরিজন ছাড়া, জেল জুলুম রিমান্ড ডিটেনশন ছাড়া জেল ই খাটেনাই,যদি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ঢাকা-৫ পাচজন ব্যাক্তির কথা বলতে হয় এর মধ্যে ছাত্রলীগের জুয়েলের কথা এসে পড়বে,এর পরে থান ভাগ হলো সকল কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ছাড়া আর কারো জায়গা এখনো হয়নাই,থাকতে হচ্ছে সাবেক এর তকমা নিয়াই, ১৬/১৭ বছরে কথা বলতে গেলে একটু বড় হয়েই যায়,উল্লেখ যোগ্য কিছু কথা না বললেই নয়,বিগত কাউন্সিলর নির্বাচন এর কথায় আসি জাহিদ হোসেন জুয়েল তখন ৪৮ নং ওয়ার্ড এর প্রার্থী হলেন যদিও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন তিনি কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে তাকে নানা ভাবে চাপতে থাকে সেই সময় ঢাকা-৫ এর ভিতর তিনটা ওয়ার্ড ৪৮-৪৯-৫০,সেই সময় ৪৮ নিয়া তুমুল লড়াই করাত আর ঝুড়ির মধ্যে তখন নগরে চাপ ও দলের কেন্দ্র থেকে দক্ষিনের দ্বায়িত্ব পড়ে মির্জা আজব রাজ্জাক ভাই সহ অনেকের বিদ্রোহীপ্রার্থী দের বসানোর জন্য,সেই সময় তিনি ছিলেন অনড় নির্বাচন করতে হবে এলাকাবাসীর চাপ ছিল শেষমেশ ভোটের দিন ফজরের কিছু আগে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধ ও ডেমরার সাঃসম্পাদকের হস্তক্ষেপে ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের দ্বায়িত্ব দেওয়া হবে কথা দিয়ে তখন অবৈধ ভাবে মিছিল ও করতে হয়েছিল এলাকা বাসীকে জানানোর জন্য, আর সেই সময় একমাত্র এই একটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ই আমরা পাই বাকি দুটোয় আমরা ফেল করি,কিন্তু কথা রাখল না কেউ, কিন্তু তারপরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অন্য দিকে পাস ভাবেন নাই, আগুন সস্ত্রাস মোকাবেলা করতে লাগাতা চৌরাস্তা পার্কে অস্থায়ী ক্যাম্পের মত করে ২৪ ঘন্টা পাহাড়ার নেত্রীত্বে ছিলেন তিনি,এর পর জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কের দ্বায়িত্ব পালন করে অন্যান্য ওয়ার্ড থেকে সবচেয়ে বেশী ভোটের জয় এনে দিয়েছিলেন, যখনি দলের প্রয়োজন পড়েছে তিনি শ্রম দিতে কুন্ঠা বোধ করেন নি,এমন কি তার উপর তার বাসার ভিতর ঢুকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে তার অফিস ভাংগচুর করে সেই যাত্রায় প্রানে বেচে যান তিনি কিন্তু দেশপ্রেমিক মুজিব আদর্শের সৈনিকের রক্ত বহন করা এই তরুন নেতাকে থামাতে পারেনাই আজকে সেই আসামীরাই আওয়ামিলীগ করে, কিন্তু তিনি কি পেলেন তা নিয়া ভাবেন নাই কখনো এখনো আছেন সক্রিয় ভাবেই রাজপথে, এর মাজে তাকে বিএনপি মহানগর নেতা বানাইয়া ও হয়রানী করতে চেয়েছে পুরো বাড়ি ঘেরাও পরে আইনের লোকরাই লজ্জিত হয়েছেন এমন কাজের জন্য,কিছুদিন আগেও কিশোর গ্যাং এর লিডার বানিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটিয়েছিল প্রশাসন,অথচ তার বড় সন্তান জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র,ও অন্যজন বিকেএসপি তে আছে,আর তাকে কিনা কি বানানোর চেষ্টা করে, পরে তারাই বুঝতে পেরেছেন,এইভাবেই প্রতিনিয়ত তাকে মোকাবিলা করেই চলতে হয় থাকতে হয় এলাকাবাসীর পাশে বিভিন্ন সামাজিক কাজে লিপ্ত,তিনি উত্তর যাত্রাবাড়ীর ঐতিহ্য বাহী সামাজিক সাংস্কৃতিক ও মাদক বিরোধী সংগঠন সূর্যকমল এর দীর্ঘ দিনের সভাপতি, এলাকার একাধিক মসজিদ মাদ্রাসার সাথে জড়িত,সীমত সম্পদ দিয়ে দলের নেতাকর্মী দের থেকে শুরু করে এলাকার দলমত নিরবিশেষে সবার পাশে থাকার চেষ্টা করে,আমি প্রতিবেদক হিসেবে লিখছি বলে নয়, যে কেউ এলাকায় গিয়ে খবর নিয়া জানতে পারেন, আর ভুলত্রুটি থাকতে পারে তেমন প্রতিপক্ষের পাশাপাশি আত্মপক্ষ এর সাথে ও লড়তে হয়, লিখার কারন হলো জননেত্রী শেখ হাসিনার চাওয়ার কারনে, তিনি যেহেতু চাচ্ছেন সাবেক ছাত্রনেতাদের দিয়া দল পরিচালনা করতে চাচ্ছেন তাহলে যাত্রাবাড়ী থানা তিনটা ওয়ার্ড ও আংশিক ধনিয়া কাজলা নিয়া গঠিত, এই থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এর যেকোন একটা দ্বায়িত্ব যদি চান দিতে পারেন অনায়াসে, কার দীর্ঘ সময়ের ছাত্র রাজনীতির রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আর নেতাদের পরিবারের ও মানুষের একটা চাপ সহ্য করে স্থানীয় ভাবে সেটা নাই শিক্ষিত বিএসএস পাশ করে এম এ ফাইনাল ইয়ার দেওয়া হয়নাই দৌড়ের কারনে, তার স্ত্রী ভিগারুননিসা থেকে দুইটাতেই গোলন্ডেন পেয়ে মাস্টার্স কমপ্লিট করা একজন দুই মেয়ে এক ছেলে সন্তানের জনক, তাহলে ওনার চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই বলে মনে করেন আল্লাহ যা দিছেন তাতেই সন্তুষ্ট তিনি দেশ বিদেশ এশিয়া ইউরোপ ঘোরা একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আগামীর নেত্রীত্ব যদি দেন এই অঞ্চলের তাতে ও খুব একটা বেশী হবে বলে মনে করিনা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: