odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

করোনা ভ্যাকসিনের ৩০ কোটি ডোজ কিনতে সম্মত ইইউ

odhikar patra | প্রকাশিত: ১৫ June ২০২০ ০২:০৭

odhikar patra
প্রকাশিত: ১৫ June ২০২০ ০২:০৭

 

বার্লিন, ১৪ জুন, ২০২০: ইউরোপের চার দেশ জার্মানী, ফ্রান্স, ইতালি ও নেদারল্যান্ডস করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ৩০ কোটি ডোজ পেতে ঔষধ কোম্পানী ‘অস্ট্রাজেনেকা’ এর সাথে চুক্তি করেছে। শনিবার জার্মান সরকার এক ঘোষণায় এ কথা বলেছে।
সুইডিশ কোম্পানী অস্ট্রা ও ব্রিটিশ কোম্পানী জেনেকা মিলে ১৯৯৯ সালে অস্ট্রাজেনেকা গ্রুপ গঠন করে। এর সাথে ইউরোপের এই চার দেশ যে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে তাতে বলা হয়েছে, কেম্পানীটি টিকা আবিস্কারের পরপরই ইউরোপের সকল দেশকে তা সরবরাহ করবে।
অস্ট্রাজেনেকা ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাথে অংশীদারিত্বে ভিত্তিতে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে। ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চলছে। এ অবস্থাতেই কোস্পানীটি বিশ্বজুড়ে তার সাপ্লাই চেইন তৈরি করছে।
প্রধান নির্বাহী পাসকাল সরিয়ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই চুক্তির ফলে ইউরোপের লাখ লাখ লোক অনুমোদনের পর অক্সফোর্ডের ভ্যাকিসন লাভের নিশ্চয়তা পাবে।
তিনি আরো বলেন, ইউরোপীয়ান সাপ্লাই চেইনের জন্যে আমরা দ্রুত উৎপাদন শুরু করতে পারবো। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত ভ্যাকসিনটি সবার কাছে পৌঁছানো যাবে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এপ্রিলে প্রাথমিকভাবে কয়েক’শ স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে পরীক্ষার কাজ শুরু করে। এখন এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার।
জার্মান সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে , চলতি বছরের শেষ নাগাদ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হবে।
জার্মান মন্ত্রণালয় বলছে, শনিবার ঘোষিত ডোজ ৪০ কোটি পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সকল দেশের যারাই নিতে চায় তারাই যেন ভ্যাকসিনটি পায়।
বিশ্ব ব্যাংকের হিসেব অনুসারে ইউরোপের জনসংখ্যা ৪৪ কোটি ৭০ লাখের মতো। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর জন্যে আগাম ভ্যাকসিন কেনার পক্ষে শুক্রবার সায় দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন।
ভ্যাকসিন তৈরিতে সাধারণত কয়েক বছর সময় লেগে যায়। কিন্তু বর্তমানে ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে ভ্যাকিসন তৈরির তোড়জোড় চলছে। আর ভ্যাকসিন কেনার আগাম অর্থ পরিশোধ এর উৎপাদন প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করবে, যদিও মানব দেহে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা এখনও শেষ হয়নি।
এই চুক্তির ফলে ভ্যাকসিন আবিস্কারের পর একটি নির্দিষ্ট মূল্যে ইউনিয়নভ্ক্তু দেশগুলো তা কেনার অধিকার পাবে। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরাও ঝুঁকি মুক্ত থাকবে।
বিশ্বের বড়ো বড়ো ঔষধ কোস্পানীগুলো বর্তমানে ভ্যাকিসন তৈরির দৌড়ে শামিল রয়েছে।
করোনা ভাইরাসে সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত চার লাখ ১৭ হাজার লোক মারা গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ৭৪ লাখ লোক।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: