ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বর্ষবরণ

Admin 1 | প্রকাশিত: ৭ মে ২০১৭ ০৯:৩৬

Admin 1
প্রকাশিত: ৭ মে ২০১৭ ০৯:৩৬

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে নাচে-গানে বরণ করা হয়েছে বাংলা নববর্ষ। গত শনিবার (১৬ বৈশাখ) সকালে কুয়ালালামপুরে হোটেল রেনেসাঁয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংসদ স্বপন ভট্টাচার্য (যশোর ৫), এ কে এম শাহজাহান কামাল (লক্ষ্মীপুর ৩) ও কামরুল লায়লা জলি (নারী আসন ১০)।

বাংলা বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, আফগানিস্তান, কিউবা, গাম্বিয়া, ফিলিপাইন, নেপাল, আজারবাইজান, মালয়েশিয়া ও সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা উপস্থিত ছিলেন। বিদেশি কূটনীতিকেরা বর্ষবরণের নাচ-গান উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান শেষে সকলের জন্য ছিল বাংলাদেশি বিভিন্ন রকমের পিঠাপুলি খাওয়ার আয়োজন।
আলোচনা পর্বে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাঙালি কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরছেন। তাদের মাধ্যমে বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতি বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ছে। এ জন্য তিনি প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানান।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্যবর্ষবরণ অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য

অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানান মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম। এ সময় শিশু-কিশোরেরা ডোল ও বাঁশি বাজিয়ে অতিথিদের শুভেচ্ছা জানায়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাইকমিশনের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) রইস হাসান সরোয়ার।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ছোটখাটো এক মঙ্গল শোভাযাত্রাও করা হয়। বিদেশি অতিথিদের মঙ্গল শোভাযাত্রা সম্পর্কে ধারণা দেন রইস হাসান সরোয়ার। মঙ্গল শোভাযাত্রায় ডোল ও বাঁশিসহ অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সহযোগিতা করে মামা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সদস্যরা।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্যবর্ষবরণ অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য

দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ, প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে এয়ার কমোডর হ‌ুমায়ূন কবির, কাউন্সেলর (শ্রম) সায়েদুল ইসলাম, প্রথম সচিব এস কে শাহিন, প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) মশিউর রহমান তালুকদার, প্রথম সচিব (বাণিজ্য) ধনঞ্জয় দাশ, প্রথম সচিব (শ্রম) হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, দ্বিতীয় সচিব তাহমিনা বেগম, দ্বিতীয় সচিব (শ্রম) ফরিদ আহমেদসহ দূতাবাসের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: