ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শোক হতে উৎসারিত শক্তিতেই গড়ি সোনার বাংলা: হাইকমিশনার মহ শহীদুল ইসলাম।

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২০ ২০:৪৩

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২০ ২০:৪৩


আজ বাংলাদেশ হাইকমিশন, মালয়েশিয়া যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করে। দিবসের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এক মিনিট নীরবতা পালন এবং জাতির জনক, ১৫ আগস্টের সকল শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
হাইকমিশনার মহ শহীদুল ইসলাম এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসে মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক ঘটনা এবং কলঙ্কময় দিন। জাতির পিতা সারাটা জীবন জেল, জুলুম ও অত্যাচার উপেক্ষা করে তাঁর অসাধারণ অসামান্য বীরোচিত নেতৃত্বগুণে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বিনির্মাণে তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত সংগ্রামমুখর জীবনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যাবতীয় প্রতিকূলতা সত্বেও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বহির্বিশ্বে স্বাধীন বাংলাদেশকে নিরপেক্ষ, শান্তিকামী ও উন্নয়নমুখী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যা করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের গতিধারা রুদ্ধ হয় এবং স্বাধীনতার মূল চেতনা থেকে জাতিকে বিচ্যুত করার অপচেষ্টা করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর কাল রাতে জাতির পিতার সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন পুত্র ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ আবু নাসের, কৃষকনেতা আব্দুর রব সেরবিয়াবাত, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বেবী সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আরিফ, আব্দুল নঈম খান রিন্টুসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করে। রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল এবং গোলার আঘাতে মোহাম্মদপুরে একটি পরিবারের বেশ কয়েকজন হতাহত হন। এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ সূর্য সন্তানদের হারিয়ে ফেলে। দীর্ঘদিন পর জাতির পিতাসহ সকলের ঘাতকদের বিচার এবং রায় বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে জাতি বিচারহীনতা থেকে মুক্তি পায়।
হাইকমিশনার বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ভিশন ২০২১, ভিশন ২০৪১ এবং ডেল্টা প্লান ২১০০ বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার বর্তমান বন্যা এবং চলমান করোনা ভাইরাস মহামারী অত্যন্ত সফলভাবে মোকাবেলা করছে। তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মান করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে দৃঢ়ভাবে আত্মনিয়োগ করবার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর মুশতাক আহমেদ (জি), এনপিপি, পিএসসি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ডেপুটি হাইকমিশনার মিজ ওয়াহিদা আহমেদ, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন জনাব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, কাউন্সেলর (শ্রম) এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন জনাব মোঃ রাজিবুল আহসান, কাউন্সেলর (কমার্সিয়াল)। ইনুশঠান সঞ্চালনা করেন জনাব মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, কাউন্সেলর (শ্রম২)। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে এসওপি মেনে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: