odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

ভ্যাকসিন প্রদানে সরকারের যথাযথ প্রস্তুতি রয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

amaderodhikarpatra@gmail.com | প্রকাশিত: ২৮ December ২০২০ ০৫:২৬

amaderodhikarpatra@gmail.com
প্রকাশিত: ২৮ December ২০২০ ০৫:২৬

 

ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০  : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি বলেছেন, ‘জানুয়ারি শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই দেশে ভ্যাকসিন চলে আসবে। আগামী ৬ মাসে পর্যায়ক্রমে দেশের ৩ কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। এই ভ্যাকসিন দেশের জনগণের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণের জন্য সরকারের যথাযথ প্রস্তুতি রয়েছে।’
আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীস্থ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ২টি ভ্যাকসিন ল্যাব পরিদর্শন শেষে মিডিয়া ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য আমাদের প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে, ভ্যাকসিন রাখার স্টোর প্রস্তুত করা হয়েছে, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে কোল্ডবক্স ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছে। কিভাবে ভ্যাকসিন দেয়া হবে তার জন্য একটি গাইডলাইনও প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা ভ্যাকসিন বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করছে তারা সঠিক তথ্য না জেনেই কথা বলছে।’
ভারতে সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিন নেয়ার পাশাপাশি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক কো-ভ্যাক্স ভ্যাকসিন পাওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী মে-জুন মাসের দিকে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য কো-ভ্যাক্স ভ্যাকসিন পাঠানো হবে। চলমান অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন এর পাশাপাশি কো-ভ্যাক্স ভ্যাকসিন চলে এলে দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষই ভ্যাকসিন পাবে । ’
১৮ বছরের নিচে, গর্ভবতী মহিলা ও বিদেশে থাকা নাগরিকদের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে ১৮ বছরের নিচে রয়েছে প্রায় ৩৭ ভাগ মানুষ, ৩০ লাখের মতো মহিলা গর্ভবর্তী এবং প্রায় কোটি মানুষ বিদেশে থাকায় অক্সফোর্ড ও কোভ্যাক্স ভ্যাকসিন দিয়ে দেশের প্রায় সব মানুষেরই ভ্যাকসিন প্রাপ্তি ঘটবে। তবে, এসব কিছুর পরও মানুষকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান অব্যাহত রাখতে হবে।’
ব্রিফিংকালে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত জরিপে বাংলাদেশের সাফল্য উল্লেখ করে জানান, ‘কোভিড মোকাবেলায় বাংলাদেশ যে সফল হয়েছে সে কথা এখন কেবল আমরা নই, খোদ আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ গত ৪-৫ মাসের জরিপ শেষে বাংলাদেশকে কোভিড মোকাবেলায় বিশ্বব্যপি ২০তম ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এক নম্বর দেশ হিসেবে কৃতিত্ব দিয়েছে। এটি আমাদের জন্য বিরাট স্বীকৃতি। এই জরিপ খোদ আমেরিকাই রয়েছে ৪০তম অবস্থানে, ইউকে রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, শ্রীলংকা, মায়ানমারের ওপড়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এই কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, এই কৃতিত্ব দেশের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের, এই কৃতিত্ব মিডিয়াসহ সকল করোনা যোদ্ধাদের।’
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মাহাবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় ল্যাবে কর্তব্যরত গবেষকদের কাছে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার খোঁজ-খবর নেন এবং পরামর্শ প্রদান করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: