odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

অধ্যক্ষ মিন্টু হত্যাকাণ্ড, আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

Biplob | প্রকাশিত: ১০ August ২০২১ ২২:০৮

Biplob
প্রকাশিত: ১০ August ২০২১ ২২:০৮

বিপ্লব,সাভারঃ আশুলিয়ায় মালিকানা ও কলেজের লভ্যাংশ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে একটি বেসরকারি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ জনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাদের আদালতে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ।
এরআগে সোমবার (৯ আগস্ট) রাতে র‌্যাব-৪ আসামিদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করেন। গত রাতেই নিহতের ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ৩ জন এজহারনামীসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আসামিরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার চন্ডিপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম, একই গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে আব্দুর রহিম বাদশা ও পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া থানার ভজনপুর গ্রামের মো. মফিজুর রহমানের ছেলে মো. আবু মোতালেব। এদের মধ্যে রবিউল ও রহিম বাদশা সম্পর্কে মামা-ভাগনে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির বার্তা২৪.কম-কে জানান, গ্রেফতার ৩ জনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথাও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুলাই আশুলিয়ার জামগড়া সাভার রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে তারই সহকারী শিক্ষক ও পার্টনাররা। প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ও মালিকানা দ্বন্দ্ব নিয়ে মনমালিন্যের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। তারা মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে হত্যা করে লাশ ৬ টুকরো করে। এরমধ্যে দেহের ৫ টুকরো স্কুলের অঙ্গিনায় মাটিতে পুতে রাখে ও বিচ্ছিন্ন মাথা ঢাকার আশকোনার একটি ডোবায় ফেলে দেয়।

পরে গতকাল র‌্যাব-৪ অভিযান চালিয়ে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশের টুকরো স্কুলের আঙ্গিনা থেকে মাটি খুড়ে উদ্ধার করে। পরে আশকোনার ডোবা থেকে বিচ্ছিন্ন মাথাও উদ্ধার করে র‌্যাব।

নিহত মিন্টু চন্দ্র বর্মণ আশুলিয়ার জামগড়া ছয়তলা এলাকার সাভার রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও পার্টনারে মালিক ছিলেন।

তিনি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামের শরত বর্মণের ছেলে। প্রায় একমাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ। র‌্যাবের অভিযানে আলোচিত ঘটনাটির রহস্য উৎঘাটন হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: