odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

সিরাজদিখানে শীতের শুরুতেই বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ।

ahsanul islam | প্রকাশিত: ২২ November ২০২১ ০৭:১৩

ahsanul islam
প্রকাশিত: ২২ November ২০২১ ০৭:১৩

মো: আহসানুল ইসলাম আমিন:

শীতের শুরুতেই মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী অন্তঃ বিভাগে চিকিৎসা নেন । তাঁর অর্ধেকের বেশি ঠান্ডাজনিত রোগী, যা আগের মাসের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।

গতকাল রবিবার সকালে সরেজমিনে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেক বেশি। রোগীদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত শিশু হাফিজুরকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা মা সামছুনাহার বলেন, ছেলেটি কয়েকদিন ধরে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত। তাই তাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। ফরিদ হোসেন নামে আরেক জন জানান, আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে, হঠাৎ করেই শীত নেমেছে। আমার ছেলেটাও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এজন্য দেরি না করে ডাক্তার দেখাতে এনেছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ঠাণ্ডা জনিত ১৫ জন রোগী ভর্তি আছে । এছারাও গত এক সাপ্তাহে ৩৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মর্কতা ডা. আঞ্জুমান আরা।

তিনি বলেন এখন ঠান্ডাজনিত রাগীর চাপ বেড়েছে। যদিও হিমশিম খাওয়ার মতো রোগীর চাপ নেই। তারপরও আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। শিশু রোগীর জন্য আলাদা আইএমসিআই কর্ণার আছে। সেখানে একজন শিশু কনসালটেন্ট, একজন মেডিকেল অফিসার, একজন এসএসএমও, একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, শীতের শুরুতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ একটু বাড়ে। এজন্য শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। শিশুর যেনো ঠান্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে মোটা কাপড় পরিধান করাতে হবে। শিশুদের ধুলোবালি থেকে দূরে রাখতে হবে। তাদের খাবার ও খাবারের পাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। পঁচা-বাসি খাবার খাওয়ানো যাবে না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: