odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 13th November 2025, ১৩th November ২০২৫

উত্তর কোরিয়ায় করোনায় প্রথম মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ May ২০২২ ২১:৩৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ May ২০২২ ২১:৩৭

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে উত্তর কোরিয়ায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে দেশটিতে ছয়জনের মৃত্যুর তথ্য জানা গেলেও কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রশাসন।

শুক্রবার (১৩ মে) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ছয় ব্যক্তি জ্বরে ভুগে মারা গেছেন। এর মধ্যে একজনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এতে বলা হয়, জ্বরে ভোগা এক লাখ ৮৭ হাজার মানুষকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা চলছে।

বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস অনেক আগে থেকেই উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে তবে দেশটির কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার প্রথম আক্রান্ত শনাক্তের খবর দেয়। তারা জানায় রাজধানীতে পিয়ংইয়ংয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। লকডাউনের ঘোষণাও দেওয়া হয়। তবে আক্রান্তের সুনির্দিষ্ট কোনও সংখ্যা জানানো হয়নি।

উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, এপ্রিলের শেষের দিক থেকে অজ্ঞাত উৎস থেকে জ্বর ‘বিস্ফোরকভাবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে’। এরপর থেকে প্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮০০ জনকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ জ্বরে ভুগছেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবারই দেশটিতে নতুন করে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার মানুষ। এছাড়া প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার ২০০ মানুষের চিকিৎসা করা হয়েছে। অবশ্য দেশটির ঠিক কতজন মানুষ এখন পর্যন্ত করোনা পজিটিভ হয়েছেন সেটি প্রকাশ করা হয়নি।

কেসিএনএ বলছে, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে উত্তর কোরিয়ায় অন্তত ছয়জন মারা গেছেন। যাদের মধ্যে একজনের ভাইরাসের অতিসংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে সংক্রামিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বৃহস্পতিবার দেশটির একটি অ্যান্টি-ভাইরাস কমান্ড সেন্টার পরিদর্শন করেন। এর আগে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় তিনি ‘গুরুতর জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেন এবং একইসঙ্গে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং ভ্যাকসিন কর্মসূচির অভাবে উত্তর কোরিয়ার আড়াই কোটি মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। গত বছর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উত্তর কোরিয়াকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং চীনের তৈরি লাখ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দিতে চাইলেও তা প্রত্যাখ্যান করে পিয়ংইয়ং। এর বদলে তারা দাবি করে ২০২০ সালের জানুয়ারির শুরু থেকে সীমান্ত বন্ধ রেখে করোনা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে তারা।

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীনের স্থল সীমান্ত রয়েছে। উভয় দেশেই করোনা মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হয়েছে। চীন বর্তমানে বড় বড় শহর লকডাউনে রেখে ওমিক্রন ঢেউ সামলানোর চেষ্টা করছে। সূত্র : বিবিসি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: