odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

ফেসবুকে বন্ধুত্ব, ডেকে নিয়ে ধর্ষণ

gazi anwar | প্রকাশিত: ২ August ২০১৭ ২০:৪৯

gazi anwar
প্রকাশিত: ২ August ২০১৭ ২০:৪৯

গত সোমবার রাজশাহী নগরের শাহ মুখদুম থানার নওদাপাড়া এলাকার একটি বাগানবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই নারীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সের (ইউআইটিএস) রাজশাহী শাখার সাবেক শিক্ষক সামশুল আলম বাদশা ও রাজশাহীর গোরহাঙ্গা এলাকার একটি কম্পিউটার দোকানের মালিক আবু ফায়েজ নাহিদ। বাদশার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মচমইল গ্রামে। নাহিদের বাড়ি একই উপজেলার হাসনিপুর গ্রামে। তাঁরা দুজনই রাজশাহী শহরের বোয়ালিয়া থানাধীন সাগরপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।

নগরের শাহ মখদুম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার আলী জানান, ওই ছাত্রীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে। বাদশার সঙ্গে তাঁর ফেসবুকে পরিচয় হয়। চিকিৎসার জন্য ওই ছাত্রী গত সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে আসেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে দুপুরে তিনি ফোন করেন তাঁর ফেসবুক বন্ধু বাদশাকে। এ সময় বাদশা তাঁকে ডেকে নেন নগরের গোরহাঙ্গা এলাকায় তাঁর বন্ধু নাহিদের কম্পিউটারের দোকানে। ওই ছাত্রী কম্পিউটারের দোকানটিতে গেলে বাদশা নাহিদের কাছে ওই ছাত্রীকে বান্ধবী পরিচয় দেন। এরপর দুপুরে খাবারের কথা বলে ওই ছাত্রীকে তাঁরা প্রাইভেটকারে করে নগরের শাহ মুখদুম থানাধীন নওদাপাড়া এলাকার গ্রিন গার্ডেন নামের একটি গেস্টহাউসে হাউসে নিয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে আটকে রেখে প্রথমে বাদশা ও পরে নাহিদ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে ওই ছাত্রীকে হোটেলে ফেলে চলে যান বাদশা ও নাহিদ। পরে হোটেল কর্মচারীদের সহযোগিতায় রাত আটটার দিকে ওই ছাত্রী শাহ মখদুম থানায় গিয়ে ঘটনাটি জানান। পরে থানায় ধর্ষণ মামলা নেওয়া হয়। ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ গোরহাঙ্গা এলাকা থেকে বাদশা ও নাহিদকে গ্রেপ্তার করে।

আনোয়ার আলী আরও জানান, ওই নারীকে শাহ মখদুম থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছিল। আজ বুধবার পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে তাঁকে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা শেষে জবানবন্দি গ্রহণের জন্য তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: