ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গাজা ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে মৃত্যুর তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২৫ ২৩:২৭

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২৫ ২৩:২৭

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার গাজায় মার্কিন-সমর্থিত একটি সাহায্য কেন্দ্রের কাছে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি হত্যা ও বিপূল সংখ্যককে আহত করার ঘটনায় স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে গাজা সিটি থেকে এএফপি জানায়, রোববার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ নগরীতে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরাইলি বন্দুকযুদ্ধে কমপক্ষে ৩১ জন নিহত ও ১৭৬ জন আহত হয়েছে, এবং নিকটবর্তী হাসপাতালের চিকিৎসকরাও বিপূল সংখ্যক মানুষের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর জানিয়েছেন।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ঘটনাস্থলের ‘কাছাকাছি বা ভেতরে’ থাকা ব্যক্তিদের ওপর গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।

তবে একটি সামরিক সূত্র স্বীকার করেছে রাতে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে থাকা ‘বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির উপর সতর্কীকরণ গুলি চালানো হয়েছে।’

গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গতকাল গাজায় সাহায্য চাইতে গিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিহত ও আহত হওয়ার খবরে আমি মর্মাহত। ফিলিস্তিনিরা খাবারের জন্য তাদের জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে এটা অগ্রহণযোগ্য। তবে তিনি এই মৃত্যুর ঘটনার জন্য কাউকে দোষারোপ করেননি।

তিনি বলেন, ‘আমি এই ঘটনার তাৎক্ষণিক ও স্বাধীন তদন্ত এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিবৃতিকে ‘অপমানজনক’ বলে অভিহিত করেছে এবং হামাসের সমালোচনা না করার জন্য গুতেরেসকে দোষারোপ করেছে।

ইসরাইলি সরকার গাজায় সাহায্য বিতরণের জন্য একটি নতুন ব্যবস্থা চালু করার জন্য সাইটটি পরিচালনায় থাকা গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)- এর সাথে কাজ করেছে। গোষ্ঠীটি দীর্ঘদিন ধরে চলমান জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থাকে এড়িয়ে গেছে।

জাতিসংঘ নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগের কারণে এই গোষ্ঠীর সাথে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়।

রোববার সেখানে উপস্থিত থাকা ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি এএফপিকে বলেন, ‘সূর্যোদয়ের আগে প্রায় ৫টা বা ৫টা ৩০ মিনিটে’ জিএইচএফ কেন্দ্রে যাওয়ার পথে প্রায় এক

কিলোমিটার আগে আল-আলম গোলচত্বর নামে পরিচিত এক স্থানে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। ভোর বেলা থেকেই সেখানে লোকজন জড়ো হয়ে ভিড় করে।

ইসরাইলি প্রতিশোধের ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘অবশ্যই ইসরাইলি সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছিল।’

‘হাজার হাজার মানুষ আল-আলম মোড়ে অপেক্ষা করছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী গুলি চালায় এবং সবাই পালিয়ে যায়। সেখানে ভয় এবং বিশৃঙ্খলা ছিল। আমি নিজের চোখে এলাকায় শহীদ এবং আহতদের দেখেছি।’

ভিড়ের অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী, ৩৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ আবু দেক্কা বলেন, ‘প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম তারা গুলি চালানোর সতর্কীকরণ করছে।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু গুলি তীব্রতর হতে বেশি সময় লাগেনি। ভোর ৫টা ৩০ মিনিট নাগাদ, আমি রক্তে ভেসে যাওয়া মানুষগুলোকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখতে পাই।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: