
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের গাজা সদরদপ্তরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১
: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের সদরদপ্তরে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মী নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।
রামাল্লাহ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
দাতব্য সংস্থাটি এক্স-এ এক পোস্টে জানিয়েছে, ‘খান ইউনিসে সোসাইটির সদর দপ্তরে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালানোর পর ভবনের প্রথম তলায় আগুন লেগে একজন ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) কর্মী নিহত এবং আরো তিনজন আহত হয়েছেন’।
পিআরসিএস বলেছে, হামলার ‘প্রাথমিক মুহূর্তগুলো ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, রেড ক্রিসেন্টের সদরদপ্তর একটি ভবনে আগুন জ্বলছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে খাদ্য সরবরাহের প্রচেষ্টা পরিদর্শন করার জন্য গাজায় মার্কিন-সমর্থিত একটি সাহায্য কেন্দ্র পরিদর্শন করার দুই দিন পর এটি প্রকাশিত হয়েছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর পর, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়েছে যে সময় ফুরিয়ে আসছে এবং গাজা ‘পূর্ণ মাত্রার দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে’।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় ওসিএইচআর অনুসারে জানা গেছে, গত মার্চ মাসে দক্ষিণ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর আক্রমণে রেড ক্রিসেন্টের আটজন কর্মী, গাজা বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার ছয়জন এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার একজন কর্মচারী নিহত হন।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে করা হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলের ওপর হামাসের আক্রমণ, যা যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল, তাতে ১ হাজার ২শ’ ১৯ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।
জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হামাস-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজায় ইসরাইলের অভিযানে কমপক্ষে ৬০ হাজার ৩শ’ ৩২ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: