.jpg) 
                                নিউজ ডেস্ক:
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে ঘটে গেছে এক সাহসী চুরি। মাত্র আট মিনিটে চোররা মেকানিক্যাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রথম তলার বারান্দায় পৌঁছে উইন্ডোর কাঁচ কাটে এবং ভেতরে প্রবেশ করে দুইটি প্রদর্শনী কেস ভেঙে নাপোলিয়ন যুগের আটটি অমূল্য ক্রাউন জুয়েলস চুরি করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর সাতজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে একটি বড় প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে চোরদের আগেভাগে শনাক্ত করা যায়নি কেন? ল্যুভরের পরিচালক লরেন্স দেস কার্স ফরাসি সেনেটে বলেন জাদুঘরটি ক্রাউন জুয়েলস সুরক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। তিনি স্বীকার করেন চোররা যে বারান্দা ব্যবহার করেছে সেখানে একমাত্র ক্যামেরা ভুল দিকে মুখ করে ছিল এবং প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা যায় ডেনন উইং এর প্রতি তিনটি কক্ষে একটি কক্ষের কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। নিরাপত্তা ও নজরদারি কর্মীদের ছাঁটাই জাদুঘরটিকে দুর্বল করে তুলেছিল। ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে অ্যালার্মগুলি ঠিকমতো কাজ করেছিল। তবে এটি ফ্রান্সের দুই মাসের মধ্যে তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ চুরি। এর ফলে দেশের অন্যান্য জাদুঘরে নতুন নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে একটি ৫০ বছরের পুরনো গাণিতিক সমস্যা যা মিউজিয়াম এবং আর্ট গ্যালারির সমস্যায় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। এটি প্রশ্ন করে কতটি ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা বা প্রহরী লাগবে একটি জাদুঘরের পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে। গণিতবিদরা প্রমাণ করেছেন কোনো জটিল আকারের ঘরের কোণগুলোর সংখ্যা তিন দিয়ে ভাগ করলে প্রয়োজনীয় ক্যামেরার সর্বনিম্ন সংখ্যা পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ একটি ১৫ কোণ বিশিষ্ট গ্যালারিতে সর্বোচ্চ পাঁচটি ক্যামেরা প্রয়োজন। এরপর ১৯৭৮ সালে স্টিভ ফিস্ক প্রমাণ দেন, তিনটি রঙ ব্যবহার করে ঘরগুলোকে ত্রিভুজে ভাগ করলে সবচেয়ে কম রঙের কোণে ক্যামেরা বসিয়ে পুরো জায়গা কভার করা যায়। বড় লাইব্রেরি বা লুভ্রের মতো প্রায় সবকক্ষ আয়তাকার হওয়ায় একাধিক ক্যামেরা বসানো ছাড়াই পুরো ঘর পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। তবে ল্যুভর বাইরের দেয়ালগুলোর পর্যবেক্ষণও পর্যাপ্ত ছিল না যা চোরদের আগমন শনাক্ত করতে ব্যর্থ করেছিল। এই ফোর্ট্রেস সমস্যা বা প্রিজন সমস্যা সংস্করণগুলো জায়গার বাইরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও রোবোটিক্স, শহর পরিকল্পনা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং কম্পিউটার ভিশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই গণিত সমস্যা ব্যবহার করা যায়। যদিও ল্যুভর এই সমস্যার সমাধান সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাননি। বিশ্বব্যাপী জাদুঘরগুলো এখন নিজেদের নিরাপত্তা পুনর্বিবেচনা করছে। এই ৫০ বছরের পুরনো গণিত সমাধান মনে করিয়ে দিচ্ছে সঠিক স্থানে সঠিক ক্যামেরা বসানো কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
-মো: সাইদুর রহমান (বাবু), বিশেষ প্রতিনিধি. অধিকারপত্র

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    .jpg) 
                                            .jpg) 
                                            .jpg) 
                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: