odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 13th November 2025, ১৩th November ২০২৫

গণভোটের চেয়ে আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৩ November ২০২৫ ০০:০০

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৩ November ২০২৫ ০০:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এই সময়ে কথিত গণভোটের চেয়ে আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া এবং পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার স্থাপন কৃষকদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এ সভায় তারেক রহমান বলেন, “আলু চাষ করে কৃষকরা এবার প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা করছেন। উৎপাদন ও সংরক্ষণ ব্যয়ের অর্ধেক দামেও চাষিরা আলু বিক্রি করতে পারছেন না। অথচ কিছু রাজনৈতিক দলের আবদার মেটাতে গণভোট করতে হলে রাষ্ট্রকেও প্রায় একই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে লোকসানের মুখোমুখি কৃষকদের কাছে গণভোটের চেয়ে আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়াই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি সাংবাদিকদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই বাস্তবতা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার দায়িত্ব এখন আপনাদের।”

তারেক রহমান আরও বলেন, “প্রতি বছর পেঁয়াজ সংরক্ষণের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। জনগণের হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে কথিত গণভোট আয়োজনের চেয়ে সেই টাকায় পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার বা কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ করলে তা কৃষকদের জন্য অনেক বেশি উপকার বয়ে আনবে।”

গণভোটের দাবি ঘিরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “গণভোটের আন্দোলনের আড়ালে পতিত শক্তিকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে কি না, তা এখন ভাবার সময় এসেছে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব হলো নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা। তারা যদি একটি দলের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যস্ত থাকে, তবে তা গণতন্ত্র ও জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।”

 ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান

তারেক রহমান আওয়ামী লীগবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া কিছু দল নিজেদের স্বার্থে স্বৈরাচারী শক্তির ছাতার নিচে আশ্রয় নিচ্ছে কি না, সেটি এখন আমাদের গভীরভাবে ভাবার সময়।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ ও এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।

এ ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরামের সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ও গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: