ঢাকা প্রতিনিধি :
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গুরুতর আহত হাদিকে দেখতে শুক্রবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত আটটার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা নিয়ে চলছে উদ্বেগ।
হাসপাতালে তিন উপদেষ্টার খোঁজখবর
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে একে একে হাসপাতালে পৌঁছান অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। প্রথমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান হাসপাতালে প্রবেশ করেন। এর কিছুক্ষণ পর আসেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তাঁরা শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার কঠোর নির্দেশ ও গভীর উদ্বেগ
এদিকে, ওসমান হাদির ওপর এই হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার বিকেলে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, "নির্বাচনী পরিবেশে এমন সহিংস হামলা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।" দেশের গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনী পরিবেশ রক্ষায় এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
এই হামলার ঘটনা আসন্ন নির্বাচনের আগে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপের ওপর এখন সকলের দৃষ্টি নিবদ্ধ।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: