বিশেষ প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম
বিএনপি থেকে বহিষ্কারের ঘটনায় গভীর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দলটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দিনই বহিষ্কারের আদেশ পাওয়াটা তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক ও অদ্ভুত অধ্যায়।
তিনি বলেন, “আমি আমার রাজনৈতিক অভিভাবককে হারিয়েছি। যার আদর্শে রাজনীতি করেছি, উজ্জীবিত হয়েছি এবং নিষ্ঠার সঙ্গে সেই আদর্শ অনুসরণ করেছি—আজ তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তাঁর এই চলে যাওয়া দেশ ও দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।”
রুমিন ফারহানা আরও জানান, খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে তাঁর সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়েছিল। সে সময় দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়টি নিয়েও খালেদা জিয়া প্রশ্ন করেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওয়াকে তিনি আপসহীনতার প্রকাশ হিসেবেই দেখছেন। “জোয়ারের বিপরীতে একা দাঁড়ানোর সাহস আমি আমার নেত্রীর কাছ থেকেই শিখেছি,”—বলেন রুমিন ফারহানা।
বহিষ্কৃত হলেও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকার কথা জানান তিনি। এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন (সরাইল, আশুগঞ্জ ও বিজয়নগরের একাংশ) থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন রুমিন ফারহানা। তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন জমা দেন।
উল্লেখ্য, এই আসনে বিএনপি তাদের জোট শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
🏛️ বহিষ্কারের আদেশে বেদনাহত রুমিন ফারহানা, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না
#রুমিন_ফারহানা #বিএনপি_বহিষ্কার #জাতীয়_নির্বাচন #স্বতন্ত্র_প্রার্থী #খালেদা_জিয়া #বাংলাদেশ_রাজনীতি #ব্রাহ্মণবাড়িয়া_২ #odhikarpatra

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: