ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রবাসে বাংলাদেশী হাইকমিশনে কি হচ্ছে? সরকারের নজর দেওয়া দরকার

সীমাহীন অপপ্রচারে লংঘিত প্রবাসীর অধিকার।

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০১৮ ১৪:০৭

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০১৮ ১৪:০৭

সীমাহীন অপপ্রচারে লংঘিত প্রবাসীর অধিকার।।
মানবতাবাদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতবছর নিউইয়র্ক এ প্রবাসীদের দেয়া সংবর্ধনা সভায় বলেছিলেন, "প্রবাসীদের কারণে আমি বেচে আছি, আজ আমি প্রধানমন্ত্রী। প্রবাসীদের প্রতি কোন অবহেলা সহ্য করবো না"। তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান আইন করে দিয়েছেন, সর্বশেষ ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ড আইন করে প্রবাসীর সেবা দৃঢ় ভিত্তি দিয়েছেন। বিদেশে নাগরিকের যে আয় হয় সেটা জাতীয় আয়ের সাথে যুক্ত হয়। রেমিটেন্স জমা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আর সাধারন মার্কেটে প্রবেশ করে প্রবাসীর আয়। তাদের পরিবারের জীবনমানের উন্নয়ন হয় চাহিদার পরিবর্তন হয় যা দেশজ উৎপাদনে জাদুকরী পরিবর্তন সংঘটিত করে। একজন প্রবাসী আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রবাসে ও দেশে নিজের মর্যাদা খোঁজেন। না পেয়ে নিজেকে হীন মনে করেন ফলে প্রবাসেই আয় সঞ্চয় করে থেকে যান।
প্রবাসী সেবা থেকে বঞ্চিত তখনই হয় যখন অপপ্রচার করা হয়। এ ক্ষেত্রে স্বদেশের কিছু দালাল মূলনিয়ামকের ভূমিকা পালন করে। যেমনঃ দূতাবাস সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরি করা-এমন কিছু গালগল্প প্রচার করে কিছু সংবাদ ও সোস্যাল মিডিয়ায় যা প্রবাসে ও দেশে বিভ্রান্ত ও আতংকের জন্ম দেয়।

কেউ কেউ দূতাবাসের সাথে নিজের সখ্যতাকে সামনে এনে দালালী করে, ইদানিং রাজনৈতিক আবরনে দালালী করা হচ্ছে। দূতাবাসে আগত সেবা প্রত্যাশীদের দূতাবাসে পৌছানোর আগেই থামিয়ে দেয়া হয়, ভয়ভীতি দেখানো হয় দূতাবাস সম্পর্কে হয় দালালের মধুর সম্পর্কের কথা বলা হয়, নতুবা দূতাবাসের সম্পর্কে ভীতিকর কথা শোনায় এভাবে অতিরিক্ত অর্থ আয় করে। অনেক সময় নকল কাগজ ধরিয়ে দেয়। অনেকে দূর থেকে দূতাবাস দেখিয়ে দিয়েও অর্থ নেয়। কিছু কিছু ফরম আছে যা ব্যপকতা আছে জটিলও বিটে একারণেও বাধ্য হয়ে দালালদের কাছে যায়। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে বা নবায়ন করার ক্ষেত্রেও জটিলতা এড়াতে দালালের কাছে যায়। স্পেশাল ট্রাভেল পাশ নিতেও দালালের কাছে যায়। এভাবে দেখা গেছএ দূতাবাস কেন্দ্রিক দালালদের কাছে যাতে সাধারণ সেবা প্রত্যাশী যায় সে জন্য বিশেষ অপপ্রচার বাহিনীও আছে যারা পুরাতন কোন ঘটনা বর্তমান বলে চালিয়ে দেয়, ইদানিং মেকিং ভিডিও ফেসবুকে দিচ্ছে। প্রবাসীদের জন্য আরো আশংকার বিষয় হলো বাংলাদেশ থেকে ভাড়ায় কিছু সাংবাদিক আসেন যারা কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ গ্রুপের পক্ষ নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হন। মালয়েশিয়া নিয়ে এটি এখন উদ্বেগজনক অবস্থায় চলে গেছে, মালয়েশিয়া সরকার এত কৌতহলের কারণ অনুসন্ধান করছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে বিশ্বের আরো দেশে প্রবাসী বাংগালী আছেন সেসব দেশে এত সাংবাদিকদের আনাগোনা নাই শুধু মালয়েশিয়া নিয়ে কেন? বাংলাদেশ সরকারের উচিত এসব খতিয়ে দেখা। কেননা মিডিয়ায় সংবাফ প্রকাশের জবাব সরকারকেই সে দেশের সরকারকে দিতে হয় কোন মিডিয়াকে নয়।

কিছু এজেন্ট থাকে যাদের মাধ্যমে প্রবাসীরা আসেন কর্মী হিসেবে। এক্ষেত্রে নির্মমতা হলো মানব তাদের কাছে পণ্য যা রপ্তানি করে মুনাফা করে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: