ঢাকা | শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরো একটি বিজয়

মুহাম্মদ মাহবুবূর রহমান পলাশ | প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ২১:৫৪

মুহাম্মদ মাহবুবূর রহমান পলাশ
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ২১:৫৪

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরো একটি বিজয়

মুহাম্মদ মাহবুবূর রহমান পলাশ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরো একটি বিজয়, আরো একটি ইতিহাস বিশ্বদরবারে স্বীকৃতি পেল। স্বাধীনতার বিশ্বকাঁপানো সেই জনসমুদ্রের মাঝে দেয়া ভাষণ স্বর্ণা অক্ষরে লেখা থাকবে বাঙ্গালীর হৃদয়ে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীর সেই বিপ্লবী ভাষণ ঠাঁই পেল বিশ্ব ঐতিয্য হিসেবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এটি কোনো সাধারণ ভাষণ ছিল না। এর মাঝে শুধু বাঙালি নয়, সমগ্র বিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা উঠে এসেছে। জাতির পিতার এ ভাষণকে ইউনেস্কো ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও মানুষের প্রতি তার গভীর মমত্ববোধেরই স্বীকৃতি দিয়েছে সংস্থা। আর এটি বাংলাদেশের সকলের জন্য খুবই আনন্দের ও গৌরবের।

জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য (ওয়ার্ল্ডস ডক্যুমেন্টরি হেরিটেজ) হিসেবে সোমবার ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেলো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ।

এটি আমাদের সকলের এবং বাংলাদেশের জন্য খুবই আনন্দের ও গৌরবের কথা। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সেদিন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিল বলেই এর সুফল আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।

ইউনেস্কোর এ স্বীকৃতি বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের জন্য এক অসাধারণ অর্জন। এ অর্জনের পেছনে বাংলা একাডেমির ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলা একাডেমীই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বই আকারে প্রকাশ করে ইউনেস্কোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এবং বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী হাইকমিশন ও দূতাবাসসমূহে প্রেরণ করেছে।

স্বীকৃতিটি বেশ বিলম্বে এসেছে। তারপরও এ সংবাদ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুবই আনন্দের ও গৌরবের। এটি কোনো সাধারণ ভাষণ ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ভাষণে শুধু বাঙালির নয়, সমগ্র বিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা উঠে এসেছে।

আন্তর্জাতিক এ স্বীকৃতি বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে চলার জন্য আমাদের দায়িত্ববোধ আরো বাড়িয়ে দিল।

বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ বাংলাদেশসহ বিশ্বের জনগণের কাছে অলিখিতভাবে বহু আগেই স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ইউনেস্কোর অফিসিয়ালি স্বীকৃতির মাধ্যমে ভাষণটি ইতিহাসে স্থান করে নিল।

এ স্বীকৃতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও মানুষের প্রতি তার গভীর মমত্ববোধেরই স্বীকৃতি অর্জিত হলো।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: