ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
৩রা ডিসেম্বর

প্রতিবন্ধিরা সমাজের অংশ এদের ও আছে সামাজিক /নাগরিক অধিকার

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৪:৩৬

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৪:৩৬

আজ বিশ্ব প্রতিবন্ধি দিবস। ’’প্রতিবন্ধিরা যে রাস্ট্রের অংশ এবং সমাজের বোঝা নয় এটা আমরা অনেকেই ভূলে যাই’’ কিন্তু এদের সমাজের অংশ মনে করে এদের কে এদের অধিকার দিলে প্রতিবন্ধিরা ও সমাজ তথা রাস্ট্র র জন্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম ।

প্রতিবন্ধীদের অধিকার।

সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, নির্বিশেষে সম-সুযোগ ও সম-অধিকার রয়েছে এবং জাতীয় উন্নয়নে দেশের সকল নাগরিকের সমঅংশীদারিত্বের সুযোগ সৃষ্টি একটি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব৷ এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী নাগরিকদের ও রয়েছে উন্নয়নের ও অংশগ্রহণের পূর্ণ অধিকার৷ প্রতিটি প্রতিবন্ধী নাগরিক প্রথমে নাগরিক, পরে প্রতিবন্ধী৷ কিন্তু আমাদের দেশের সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, প্রতিবন্ধী নাগরিকদের প্রতি অআমাদের অজ্ঞতা, ভয় ও কুসংস্কারচ্ছন্ন্ মনোভাবের কারণে পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ ও অংশীদারিত্বের অধিকার খুবই নগন্য ৷

 প্রতিবন্ধি কারা

বয়স, লিঙ্গ, জাতি,সংস্কৃতি বা সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী আর দশজন যে কাজগুলো করতে পারে ইমপেয়ারমেন্টের কারণে সে কাজগুলো প্রাত্যূহিক জীবনে করতে না পারার অবস্থাটাই হল ডিসএবালিটি বা প্রতিবন্ধিতা৷ ইমপেয়ারমেন্ট হল দেহের কোন অংশ বা তন্ত্র যদি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে, ক্ষণস্থায়ী বা চিরস্থায়ী ভাবে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায় সে অবস্থাটিকেই বোঝায় ৷

 প্রতিবন্ধিতার প্রকারভেদঃ-

 (ক) কখন শুরু হয়েছে তার ভিত্তিতে

প্রাথমিক প্রতিবন্ধিতা : বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধিত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণ করলে তাকে প্রাথমিক প্রতিবন্ধিতা বলা হয় ৷

 পরবতী বা অর্জিত প্রতিবন্ধিতা : জন্মের পরে বিভিন্ন কারণে প্রতিবন্ধিত্ব বরণ করে থাকলে থাকে পরবতী  বা অর্জিত প্রতিবন্ধিতা বলা হয়৷

(খ) কোন অঙ্গ আক্রান্ত হয়েছে তার ভিত্তিতে :

  • শারীরিক প্রতিবন্ধী
  • শ্রবণ প্রতিবন্ধী
  • বাক প্রতিবন্ধী
  • বুদ্ধি প্রতিবন্ধী
  • বহুবিধ প্রতিবন্ধী

মাত্রা অনুযায়ী প্রতিবন্ধিতাকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায় :

মৃদু

মাঝারি

তীব্র

চরম

প্রতিবন্ধিতার কারণঃ-

 বেশীর ভাগ প্রতিবন্ধতার কারণ আমাদের জানা নেই ৷ কিন্তু যেগুলো সম্বন্ধে জানা যায়, তা কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়৷ যা নীচে উল্লেখ করা হলো

(ক) সাধারণ কারণ সমূহ

  • বংশানুক্রমিক
  • রক্তের সম্পর্ক রয়েছে এমন কোন কোন আত্মীয়ের সাথে বৈবাহিক সম্পক॔ (সন্তানদের মধ্যে)
  • দুর্ঘটনা
  • উচ্চ মাত্রার জ্বর
  • বিষক্রিয়া
  • মস্তিষ্কের কিছু কিছু ইনফেকশন বা অসুখ বা টিউমার
  • পুষ্টি অভাব, ভিটামিনের অভাব, আয়োডিনের অভাব ইত্যাদি

(খ) জন্ম-সম্পর্কিত কারণ সমূহ

(১) জন্মের পূর্বে

মায়ের বয়স যদি ১৬ বছরের নীচে অথবা ৩০ বছরের উপর হয়

গর্ভাবস্থায় মায়ের পুষ্টির অভাব

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের মধ্যে যদি মা কিছু কিছু কড়া ঔষধ গ্রহণ করে থাকে অথবা কীটনাশক, রাসায়নিক, রশ্মি, বিষক্রিয়া গ্রহণ করে থাকে ৷

গর্ভাবস্থায় যদি মায়ের বিশেষ হাম হয়৷ এটি সাধারণত প্রভাব বিস্তারেও থাকে ইন্দ্রিয়স্থান (শ্রবণ এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে), ব্রেইনের সেরেব্রাল পালসি অথবা মানসিক প্রতিবন্ধী, অথবা শরীরের অভ্যন্তরের বাহুতেও প্রভাব বিস্তার করতে পারে৷

গর্ভধারণকারী মায়ের যদি হার্টের অসুখ বা ডায়াবেটিস থাকে৷

গর্ভধারণকারী মায়ের যদি বিভিন্ন অভ্যাস থাকে৷ যেমন- মদ পান, ধূমপান করা, তামাক ব্যবহার করা ইত্যাদি৷

২) জন্মের সময়

অপরিপক্বতা

ডেলিভারির সময় অব্যবস্থাপনা (সাধারণত অপ্রশিক্ষিত কোন কর্মীর দ্বারা)

ডেলিভারির সময় সঠিক ভাবে যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা হলে ৷

মাথায় আঘাত

প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাব

(৩)জন্মের পরে

মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হলে

প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাব

দুর্ঘটনা

উচ্চমাত্রার জ্বর

বিষক্রিয়া

মস্তিষ্কেও কিছু কিছু ইনফেকশন, রোগ এবং টিউমার

                সাধারণত উপরোক্ত কারণে এসব প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়ে হয়ে থাকে ৷(সুত্রঃসংগৃহীত)



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: