ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দালাল আর মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে ভেস্তে যেতে বসেছে ভালো উদ্যোগ।।

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০১৮ ০২:১৫

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০১৮ ০২:১৫

দালাল আর মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে ভেস্তে যেতে বসেছে ভালো উদ্যোগ।।। 
মালয়েশিয়া ১৯৭৬ সাল থেকে বিদেশি শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিচ্ছে। সেই সময় ও পরবর্তীতে আগত অনেক শ্রমিক মালয়েশিয়ার স্থানীয় মেয়ে বিয়ে করে সেই স্ত্রীর ভিসায় বা আইকাড করে দাপটের সাথে দালালি করছে। অনেকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে মালয়েশিয়ার নাগিরিকত্ব নিয়ে জনশক্তি র দালালী করে এখন অনেক অনেক অর্থের মালিক হয়েছে। অনেক অর্থের মালিক হলেও মানুষদের সাথে প্রতারণা করার অভ্যাস ত্যাগ করতে পারে নি। এদের সকলের পিছনের ইতিহাসে রয়েছে শ্রমিক। এদের কারণে বাংলাদেশে সাগর পথে, আকাশ পথে অবৈধভাবে লোক এসেছে। মিথ্যা টুরিস্ট, ছাত্র, পেশাদার ইত্যাদি ভিসায় লোক এনে দাসের মত ব্যবহার করেছে। এসকল লোকদের একটা ঘরে গাদাগাদি করে রেখে দিত আর কাজে নিয়ে যেত, সন্ধ্যায় ফেরত আনতো যেন খোয়ারের গরু। এদের কাজ পাইয়ে দেবার নামে মাসে ১০০-২০০ রিংগিত প্রত্যেকের বেতন থেকে কেটে নিত। অনেককে পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে ছাড়ানোর নাম করে রিংগিত নিত, নতুন পাসপোর্ট করে দেওয়ার জন্য হাজার হাজার রিংগিত নিত। এভাবে পদে পদে অর্থ হাতিয়ে নিত। অনেককে জিম্মি করে বাড়িতে ফোন করে অর্থ নিত। এভাবে প্রবাসীদের প্রবঞ্চিত করে অর্থ আয়ের পথ এবার জি টু জি পদ্ধতির কারণে বন্ধ হয়ে যায় ফলে বেপরোয়া হয়ে ওঠে এসব বেপারিরা। শুরু করে সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত এমনকি আওয়ামী লীগ সরকারকে হঠানোর জন্য অগ্নিসন্ত্রাসের জন্য অর্থ দিতে থাকে, ইদানিং জেড ফোর্স নামক সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে অর্থসহ প্রেরণ করছে বলে জানা গেছে। একপর্যায়ে বাংলাদেশের আদম বেপারিরা যুক্ত হয়ে সরকারের জি টু জি উদ্যোগে ভাটা ফেলায়। এবং বাধ্যহয়ে জি টু জি প্লাস অর্থাৎ মালয়েশিয়া সরকার ও বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি পদ্ধতি চালু করেছে। 

মালয়েশিয়ার কোম্পানি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে কোটা বরাদ্দ পাওয়ার পর অনলাইন সিস্টেমে চাহিদা, পাওয়ার অব এটর্নি, কোম্পানির যাবতীয় তথ্য আপলোড করলে অটোভাবে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি নির্বাচন হয়। অনলাইনে সাবমিট করলে বাংলাদেশ হাইকমিশন, বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্ট, বিএমইটি এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানতে পারে অনলাইনে। হাইকমিশন সরজমিন কোম্পানির অবসথা কাজের ও থাকার পরিবেশ বেতন ভাতা সম্পর্কে জেনে নিয়ে নিশ্চিত হয়ে অনলাইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এটেস্টেশান দিচ্ছে। কেনন না বিগত সময়ে কবর স্থানের নামে, নাম ঠিকানাহীন কোম্পানির নামে লোক এনে ফেলে দিয়েছিল রাস্তা ঘাটে হয়েছিল অমানবিক পরিস্থিতি। পূর্বে কোম্পানির ম্যানেজারের সাথে হাত করে একশর পাশে শুন্য বসিয়ে একহাজার লোক এনেছি ১০০ লোক কোম্পানি নিয়েছে বাকী নয়শ লোক হয়েছিল দালালদের নিকট জিম্মি। সম্প্রতি তেমন দুটি কোম্পানির নামে ঢাকা থেকে লোক প্রেরণ করে কোম্পানি জানে না এবং মালয়েশিয়াস্থ দালাল ও এজেন্ট বিমানবন্দর থেকে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের কঠোর অবস্থানের কারণে ভেস্তে গেছে। অর্থাৎ কোম্পানি ছাড়া লোক দেয়া হচ্ছে না। তথাপি মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংগালি দালাল ও এজেন্ট হুমকি দিচ্ছে যে, হাইকমিশন অনুমতি ও এটেশটেশন না দিলেও বাংলাদেশ থেকে লোক এনে বিমানবন্দরে ছেড়ে দিবে। এর ফলে বাংলাদেশেও চাপ সৃষ্টি হবে তখন হাইকমিশন বাধ্য হবে এদের ব্যবস্থা করতে। জানা গেছে কাজ নেই কিন্তু লোক আনার অনুমতি বেড় করেছে এমন অর্ধশতাধিক কোম্পানির এটেস্টেশন হাইকমিশন দেয় নি। ফলে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের হত্যার ও পরিবার তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। বিষয়টি মালয়েশিয়া সরকার জানে। কাজ এবং বেতন না থাকলেও এসকল কোম্পানির এটেস্টেশন দিতে বাংলাদেশ থেকেও হাইকমিশনে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বিএমইটি থেকেও অনুমোদন বেড় করেছে! হাইকমিশনের এটেস্টেশন ব্যতীত বিএমইটি লোক প্রেরণের ইমিগ্রেশন কার্ড দিয়েছে। এমন কি কোম্পানি লোক না নেওয়ার তথ্য গোপন করে বা কোম্পানির চিঠি পরিবর্তন বা নকল করে বিএমইটি ও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এরকম বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ায় অবস্থিত দালাল ও এজেন্টদের অবৈধ চাপ অব্যাহত থাকলে এ উদ্যোগ ভেস্তে যাবে এবং দীর্ঘদিনের দুর্নাম কাটিয়ে যে ভাল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা নষ্ট হবে। আর নষ্টকরতে পারলে আদম বেপারিদের লাভ হবে কপাল পুড়বে নাগরিকদের! 
সম্প্রতি জি টু জি প্লাসের আওতায় মালয়েশিয়ায় কর্মে নিযুক্ত কর্মীদের লোভ ও ভয় দেখিয়ে এবং ফুসলিয়ে কোম্পানি থেকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া, কোম্পানিতে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং গুজব ছড়িয়ে কোম্পানি থেকে বৈধ কর্মীদের ভাগিয়ে নিয়ে অবৈধ করে তাদের জিম্মি করার পুরাতন অমানবিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে নতুন পদ্ধতি চালু হলেও ঢাকা ও মালয়েশিয়ায় পুরাতন দালাল ও এজেন্টদের অপতৎপরতা থেমে নেই। 
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ রিক্রুটিং এজেন্টদের কোম্পানি বা কারখানা থেকে লোক নিয়োগের ডিমান্ড বেড় করতে ঘুষ দিচ্ছে কোম্পানির ম্যানেজারদের এবং এটা এখন কে কত বেশি ঘুষ দিতে পারে এমন পর্যায়ে গেছে। এধরনের অপকর্মকে নাম দিয়েছে মার্কেট থেকে কাজ কিনে নেওয়া এবং দুই তিন হাত বদলে এর মূল্য তিন থেকে চারগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশে একজন কর্মী তার গ্রামের, শহরের, ঢাকার পাসপোর্ট, মেডিকেল ইত্যাদি ক্ষেত্রের দালালদের নিকট জিম্মি হয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে। অর্থাৎ একজন কর্মী নিজের টাকায় চাকরি কিনে বিদেশ যায় এবং লাভ করে রিক্রুটিং এজেন্ট, দালালরা। লাইসেন্সধারী রিক্রুটিং এজেন্ট এ ক্ষেত্রে নিরব আছে কারণ এরাই এসব উপএজেন্ট, সাব এজেন্ট নামক দালালদের নিযুক্ত করেছে। এতেকরে সরকার নির্ধারিত এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা সীমায় থাকেনি। অর্থাৎ বাংলাদেশ লেবার সেন্ডিং কান্ট্রি হলেও গ্রাম থেকে বিদেশে কর্মস্থল পর্যন্ত কোন সুনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি এখনও করেনি যদিও পৃথক মন্ত্রণালয় করা হয়েছে। তবে কেউই সুরক্ষিত করে নি কর্মে নিযুক্তির প্রারম্ভিক অধিকার। 
আরো উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, বৈধভাবে কারখানায় কাজ নিশ্চিত করে মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ থাকলেও টুরিস্ট ভিসায় মানব পাচার বন্ধ হয় নি। অতিসাম্প্রতিক মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মিজান ও শিউলি নামক মানব পাচারকারী জয়পুরহাটের দুজন অশিক্ষিত লোককে কাজ দেবার নাম করে চার লক্ষ টাকা করে নিয়ে টুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় নিয়ে গিয়ে জহুর বারুর সিনাই নামক স্থানে আটকে রেখে তাদের পরিবারের নিকট আরো এক লক্ষ টাকা করে দাবী করে মিজান ও শিউলি। তাদের পাসপোর্ট আটকে রেখেছে। উল্লেখ্য টুরিস্ট ভিসায় কাজ করার কোন সুযোগ নাই। অতিরিক্ত টাকা দাবী করলে শিউলিকে গ্রামবাসী ধরে পুলিশে দিলেও ঘুষের বিনিময়ে শিউলিকে ঢাকায় পালিয়ে যেতে দেয় জয়পুরহাট পুলিশ। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখেনি। তাই এভাবে সহজ সরল মানুষগুলোকে বিদেশে পাচার করছে। এক্ষেত্রে সরকারের প্রচারণারও অভাব রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রিন্ট ও ইইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ বিষয়ে প্রচারণা চালাতে পারে। এদিকে মানবাধিকার বা অভিবাসন বিষয়ে কথিত সোচ্চার এনজিও রয়েছে চুপচাপ! প্রবাসে যেতে হয়রানি, অতিরিক্ত ব্যায় ও মানব পাচার হলেও সর্বোপরি মানবাধিকার লংঘিত হলেও কোন উপযুক্ত প্রতিকার নাই। এভাবে চলতে থাকলে অভিবাসনের ভালো উদ্যোগ ভেস্তে যাবে এবং যাতে ভেস্তে যায় এজন্য একটি চক্র ব্যাপকভাবে সক্রিয় আছে।লো উদ্যোগ।।। 
মালয়েশিয়া ১৯৭৬ সাল থেকে বিদেশি শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিচ্ছে। সেই সময় ও পরবর্তীতে আগত অনেক শ্রমিক মালয়েশিয়ার স্থানীয় মেয়ে বিয়ে করে সেই স্ত্রীর ভিসায় বা আইকাড করে দাপটের সাথে দালালি করছে। অনেকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে মালয়েশিয়ার নাগিরিকত্ব নিয়ে জনশক্তি র দালালী করে এখন অনেক অনেক অর্থের মালিক হয়েছে। অনেক অর্থের মালিক হলেও মানুষদের সাথে প্রতারণা করার অভ্যাস ত্যাগ করতে পারে নি। এদের সকলের পিছনের ইতিহাসে রয়েছে শ্রমিক। এদের কারণে বাংলাদেশে সাগর পথে, আকাশ পথে অবৈধভাবে লোক এসেছে। মিথ্যা টুরিস্ট, ছাত্র, পেশাদার ইত্যাদি ভিসায় লোক এনে দাসের মত ব্যবহার করেছে। এসকল লোকদের একটা ঘরে গাদাগাদি করে রেখে দিত আর কাজে নিয়ে যেত, সন্ধ্যায় ফেরত আনতো যেন খোয়ারের গরু। এদের কাজ পাইয়ে দেবার নামে মাসে ১০০-২০০ রিংগিত প্রত্যেকের বেতন থেকে কেটে নিত। অনেককে পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে ছাড়ানোর নাম করে রিংগিত নিত, নতুন পাসপোর্ট করে দেওয়ার জন্য হাজার হাজার রিংগিত নিত। এভাবে পদে পদে অর্থ হাতিয়ে নিত। অনেককে জিম্মি করে বাড়িতে ফোন করে অর্থ নিত। এভাবে প্রবাসীদের প্রবঞ্চিত করে অর্থ আয়ের পথ এবার জি টু জি পদ্ধতির কারণে বন্ধ হয়ে যায় ফলে বেপরোয়া হয়ে ওঠে এসব বেপারিরা। শুরু করে সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত এমনকি আওয়ামী লীগ সরকারকে হঠানোর জন্য অগ্নিসন্ত্রাসের জন্য অর্থ দিতে থাকে, ইদানিং জেড ফোর্স নামক সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে অর্থসহ প্রেরণ করছে বলে জানা গেছে। একপর্যায়ে বাংলাদেশের আদম বেপারিরা যুক্ত হয়ে সরকারের জি টু জি উদ্যোগে ভাটা ফেলায়। এবং বাধ্যহয়ে জি টু জি প্লাস অর্থাৎ মালয়েশিয়া সরকার ও বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি পদ্ধতি চালু করেছে। 

মালয়েশিয়ার কোম্পানি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে কোটা বরাদ্দ পাওয়ার পর অনলাইন সিস্টেমে চাহিদা, পাওয়ার অব এটর্নি, কোম্পানির যাবতীয় তথ্য আপলোড করলে অটোভাবে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি নির্বাচন হয়। অনলাইনে সাবমিট করলে বাংলাদেশ হাইকমিশন, বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্ট, বিএমইটি এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানতে পারে অনলাইনে। হাইকমিশন সরজমিন কোম্পানির অবসথা কাজের ও থাকার পরিবেশ বেতন ভাতা সম্পর্কে জেনে নিয়ে নিশ্চিত হয়ে অনলাইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এটেস্টেশান দিচ্ছে। কেনন না বিগত সময়ে কবর স্থানের নামে, নাম ঠিকানাহীন কোম্পানির নামে লোক এনে ফেলে দিয়েছিল রাস্তা ঘাটে হয়েছিল অমানবিক পরিস্থিতি। পূর্বে কোম্পানির ম্যানেজারের সাথে হাত করে একশর পাশে শুন্য বসিয়ে একহাজার লোক এনেছি ১০০ লোক কোম্পানি নিয়েছে বাকী নয়শ লোক হয়েছিল দালালদের নিকট জিম্মি। সম্প্রতি তেমন দুটি কোম্পানির নামে ঢাকা থেকে লোক প্রেরণ করে কোম্পানি জানে না এবং মালয়েশিয়াস্থ দালাল ও এজেন্ট বিমানবন্দর থেকে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের কঠোর অবস্থানের কারণে ভেস্তে গেছে। অর্থাৎ কোম্পানি ছাড়া লোক দেয়া হচ্ছে না। তথাপি মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংগালি দালাল ও এজেন্ট হুমকি দিচ্ছে যে, হাইকমিশন অনুমতি ও এটেশটেশন না দিলেও বাংলাদেশ থেকে লোক এনে বিমানবন্দরে ছেড়ে দিবে। এর ফলে বাংলাদেশেও চাপ সৃষ্টি হবে তখন হাইকমিশন বাধ্য হবে এদের ব্যবস্থা করতে। জানা গেছে কাজ নেই কিন্তু লোক আনার অনুমতি বেড় করেছে এমন অর্ধশতাধিক কোম্পানির এটেস্টেশন হাইকমিশন দেয় নি। ফলে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের হত্যার ও পরিবার তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। বিষয়টি মালয়েশিয়া সরকার জানে। কাজ এবং বেতন না থাকলেও এসকল কোম্পানির এটেস্টেশন দিতে বাংলাদেশ থেকেও হাইকমিশনে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বিএমইটি থেকেও অনুমোদন বেড় করেছে! হাইকমিশনের এটেস্টেশন ব্যতীত বিএমইটি লোক প্রেরণের ইমিগ্রেশন কার্ড দিয়েছে। এমন কি কোম্পানি লোক না নেওয়ার তথ্য গোপন করে বা কোম্পানির চিঠি পরিবর্তন বা নকল করে বিএমইটি ও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এরকম বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ায় অবস্থিত দালাল ও এজেন্টদের অবৈধ চাপ অব্যাহত থাকলে এ উদ্যোগ ভেস্তে যাবে এবং দীর্ঘদিনের দুর্নাম কাটিয়ে যে ভাল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা নষ্ট হবে। আর নষ্টকরতে পারলে আদম বেপারিদের লাভ হবে কপাল পুড়বে নাগরিকদের! 
সম্প্রতি জি টু জি প্লাসের আওতায় মালয়েশিয়ায় কর্মে নিযুক্ত কর্মীদের লোভ ও ভয় দেখিয়ে এবং ফুসলিয়ে কোম্পানি থেকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া, কোম্পানিতে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং গুজব ছড়িয়ে কোম্পানি থেকে বৈধ কর্মীদের ভাগিয়ে নিয়ে অবৈধ করে তাদের জিম্মি করার পুরাতন অমানবিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে নতুন পদ্ধতি চালু হলেও ঢাকা ও মালয়েশিয়ায় পুরাতন দালাল ও এজেন্টদের অপতৎপরতা থেমে নেই। 
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ রিক্রুটিং এজেন্টদের কোম্পানি বা কারখানা থেকে লোক নিয়োগের ডিমান্ড বেড় করতে ঘুষ দিচ্ছে কোম্পানির ম্যানেজারদের এবং এটা এখন কে কত বেশি ঘুষ দিতে পারে এমন পর্যায়ে গেছে। এধরনের অপকর্মকে নাম দিয়েছে মার্কেট থেকে কাজ কিনে নেওয়া এবং দুই তিন হাত বদলে এর মূল্য তিন থেকে চারগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশে একজন কর্মী তার গ্রামের, শহরের, ঢাকার পাসপোর্ট, মেডিকেল ইত্যাদি ক্ষেত্রের দালালদের নিকট জিম্মি হয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে। অর্থাৎ একজন কর্মী নিজের টাকায় চাকরি কিনে বিদেশ যায় এবং লাভ করে রিক্রুটিং এজেন্ট, দালালরা। লাইসেন্সধারী রিক্রুটিং এজেন্ট এ ক্ষেত্রে নিরব আছে কারণ এরাই এসব উপএজেন্ট, সাব এজেন্ট নামক দালালদের নিযুক্ত করেছে। এতেকরে সরকার নির্ধারিত এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা সীমায় থাকেনি। অর্থাৎ বাংলাদেশ লেবার সেন্ডিং কান্ট্রি হলেও গ্রাম থেকে বিদেশে কর্মস্থল পর্যন্ত কোন সুনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি এখনও করেনি যদিও পৃথক মন্ত্রণালয় করা হয়েছে। তবে কেউই সুরক্ষিত করে নি কর্মে নিযুক্তির প্রারম্ভিক অধিকার। 
আরো উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, বৈধভাবে কারখানায় কাজ নিশ্চিত করে মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ থাকলেও টুরিস্ট ভিসায় মানব পাচার বন্ধ হয় নি। অতিসাম্প্রতিক মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মিজান ও শিউলি নামক মানব পাচারকারী জয়পুরহাটের দুজন অশিক্ষিত লোককে কাজ দেবার নাম করে চার লক্ষ টাকা করে নিয়ে টুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় নিয়ে গিয়ে জহুর বারুর সিনাই নামক স্থানে আটকে রেখে তাদের পরিবারের নিকট আরো এক লক্ষ টাকা করে দাবী করে মিজান ও শিউলি। তাদের পাসপোর্ট আটকে রেখেছে। উল্লেখ্য টুরিস্ট ভিসায় কাজ করার কোন সুযোগ নাই। অতিরিক্ত টাকা দাবী করলে শিউলিকে গ্রামবাসী ধরে পুলিশে দিলেও ঘুষের বিনিময়ে শিউলিকে ঢাকায় পালিয়ে যেতে দেয় জয়পুরহাট পুলিশ। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখেনি। তাই এভাবে সহজ সরল মানুষগুলোকে বিদেশে পাচার করছে। এক্ষেত্রে সরকারের প্রচারণারও অভাব রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রিন্ট ও ইইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ বিষয়ে প্রচারণা চালাতে পারে। এদিকে মানবাধিকার বা অভিবাসন বিষয়ে কথিত সোচ্চার এনজিও রয়েছে চুপচাপ! প্রবাসে যেতে হয়রানি, অতিরিক্ত ব্যায় ও মানব পাচার হলেও সর্বোপরি মানবাধিকার লংঘিত হলেও কোন উপযুক্ত প্রতিকার নাই। এভাবে চলতে থাকলে অভিবাসনের ভালো উদ্যোগ ভেস্তে যাবে এবং যাতে ভেস্তে যায় এজন্য একটি চক্র ব্যাপকভাবে সক্রিয় আছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: