odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 7th November 2025, ৭th November ২০২৫

বগুড়ার শেরপুরে ভিজিডির চাল জন প্রতিনিধিদের পেটে!

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২ November ২০১৮ ২০:১৭

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২ November ২০১৮ ২০:১৭


আব্দুর রাহিম, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে মির্জাপুর ইউনিয়নের ভিজিডির চাল জনপ্রতিনিধিদের পেটে! অভিযোগ উঠেছে এই চালগুলো আত্মসাত করার। ভিজিডির এই চাল আত্মসাতের তালিকায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের নামও রয়েছে। বিষয়টি
জানাজানির পর এই নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।


প্রাপ্ততথ্যে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার অসহায় ও গরীব দুঃখীদের খাদ্য নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে ১২৬ টি কার্ডের মাধ্যমে ১২৬ জন অসহায় ব্যাক্তিদের ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করা হচ্ছে। এই ইউনিয়নের অধিকাংশ কার্ডধারীরা এই কার্ড পাবার উপযুক্ত নন। কোন ওয়ার্ড মেম্বাররা তাদের আত্মীয়
স্বজনদের নামে এই কার্ড বিতরণ করেছেন।

আবার কেউ কেউ এই কার্ডের ব্যাক্তিকে না জানিয়ে নাম দিয়ে তিনিই এই চালগুলোতুলে  বাজারে বিক্রি করছেন। আবার মির্জাপুর ইউনিয়নের এই তালিকার ৮৯ নং তালিকায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজা খাতুনের নামও রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজা খাতুন জানান, আমি মির্জাপুরে মেম্বার থাকা অবস্থায় আমার একটা নাম ভিজিড তালিকায় রেখেছিলাম।

কিন্তু উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পরে ফরহাদ মেম্বারকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম অন্য কারো নাম দেয়ার। কিন্তু সে দিয়েছে কিনা আমি জানিনা। সরেজমিনে মির্জাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে গিয়ে আরো জানা যায়, ওই ওয়ার্ডের সদস্য কানু তার মেয়ের নামে সহ যে সকল ব্যাক্তির নামে কার্ডগুলো ইস্যু করেছেন তারা একজনও চাল পাননা।

এই চালগুলো প্রতিমাসে তিনি নিজেই উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করছেন। তালিকার ৮৭ নং মুনজুয়ারা বেগমের স্বামী একজন ব্যবসায়ী। তার অবস্থাও অনেক ভাল তিনি এই কার্ডের চাল কখনোই উত্তোলন করেননি বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।এছাড়া তালিকার ৮৬ নং মহিলা শিউলী খাতুন একজন শিক্ষক। তাই তার এই চাল উত্তোলন করার প্রশ্নই উঠেনা।
এভাবে যে কয়জন ব্যাক্তির খোঁজ নেয়া হয়েছে, তারাই জানিয়েছেন এই চাল তারা কখনোই উত্তোলন করেননি।

এ ব্যাপারে কানু মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আসলে সবগুলোই নয়, কিছু কার্ডে সমস্যা আছে। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি অনুরোধ করেন এই সংবাদ প্রকাশ না করতে। মির্জাপুর ইউনিয়নের সচীব আমিনুল ইসলাম জানান, আমি কিছুদিন হলো এখানে যোগদান করেছি। তবে ১০/১২ জন মহিলা উপস্থিত না হলে সেই চাল আটকে দিয়েছিলাম কিšুÍ চেয়ারম্যানের অনুরোধে সেগুলো দিয়ে দিয়েছি।মির্জাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মুন্টু মাষ্টার জানান, আসলে মেম্বাররা গরীব।

তাই তারা কিছু কিছু কার্ডের চাল তুলে বিক্রি করেন। আপনারা বিষয়গুলো না লিখলেই আমাদের জন্য ভাল হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত আলী জানান, আমি সবে মাত্র যোগদান করেছি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: