odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

আমাশয় রোগীর চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৪ April ২০১৯ ০৯:৫৭

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৪ April ২০১৯ ০৯:৫৭

আমাশয় রোগীর চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি

ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

আমাশয় হলো একটি বিশেষ ধরনের পাতলা পায়খানাজনিত রোগ। এখানে মলের সঙ্গে মিউকাস বা সাধারণ মানুষ যাকে আম বলে থাকেন অথবা রক্ত অথবা দুটোই গিয়ে থাকে। আমাশয় বা পাতলা পায়খানাজনিত বিশেষ রোগের প্রধান কারণ সংক্রমণ। বিভিন্ন রকমের সংক্রমণ হয়। জীবাণুঘটিত, পরজীবীঘটিত। এটি অপরিচ্ছন্ন খাবার, হাত ও পানীয়র মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। পাশাপাশি কিছু ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হলো সিগেলাফ্লেক্সেরি নামক এক প্রকার জীবাণু অথবা ক্যামপাইলোব্যাকটর জেজোনি নামের এক প্রকার জীবাণু। একটি হলো স্বল্পমেয়াদি আমাশয়, আরেকটি হলো দীর্ঘমেয়াদি আমাশয়। স্বল্পমেয়াদি আমাশয় সাত দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায়। আরেকটি হলো দীর্ঘমেয়াদি আমাশয়। এটি সাধারণত দির্ঘ দিন ধরে স্থায়ী  চিকিৎসা নিতে হয়।  
আমাশয় রোগটি কি?এই প্রশ্নের উওরে সংক্ষেপে বলা যায় যে,উদরাময় ও তার সঙ্গে পেটের বেদনাসহ অল্প অল্প মল রক্ত আম বা আম রক্ত বার বার বের হতে থাকলে তাকে অামাশয় বলা হয়,অাধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে
আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি বলতে আমরা সাধারন ভাবে যা বুঝাি অ্যামিবা  (এক কোষী পরজিবি বা পেরাসাইট) এবং সিগেলা-shigella এক ধরনের বেক্টরিয়ার ধারা মানবদেহের পরিপাকতন্ত্রে (গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল) বাসা বেঁধে যে ঘা বা ইনফেকশনে  পেটে কামড়ানো সহ মলের সাথে পিচ্ছিল আম অথবা শ্লেষ্মা যুক্ত  রক্ত যাওয়া কে আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি বলা হয়।

“আধুনিক প্রযুক্তিতে কয়েকটি ভাইরাস, ছত্রাক ও কৃমি জাতীয় জীবাণু ও আমাশয় সৃষ্টি করতে পারে বলে প্রমানিত হয়েছে”

আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি একটি অতি পরিচিত রোগ। বিভিন্ন কারণে এই রোগ হয়। আজ এ বিষয়ে কলাম ধরেছেন, হোমিওবিজ্ঞান গবেষনা ও  প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কো-চেয়ারম্যান ও হোমিওগবেষক ডা.এম এ মাজেদ

আমাশয় খুব প্রচলিত একটি  রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর এক ধরনের লোক আছে যারা এসে বলে, ‘আমার ক্রনিক ডিসেন্ট্রি। ১০ বছরের বা ১২ বছরের ডিসেন্ট্রি।’

প্রথমে বলি, আমাশয় কী? যদি আপনার বারবার পায়খানা হয়। পায়খানার সঙ্গে যদি রক্ত বা মিউকাস যায়, তখন আমরা একে বলি আমাশয়। আমাশয় প্রধানত দুই ধরনেরঃ

১। এমোয়েবিক ডিসেনট্রি২। আরেকটি হলো বেসিললারিক ডিসেনট্রি
আমরা গ্রাম্য ছন্দে বলি,১,সাদা আমাশায় ২,
রক্ত আমাশায়।

তবে এই আমাশয়গুলো দীর্ঘমেয়াদি নয়। এগুলো  স্বল্প মেয়াদির আমাশয়। তিন থেকে সাতদিনের। চিকিৎসা না করা হলেও চলে যেতে পারে। তবে জোড়ালোভাবে যদি আক্রান্ত হয় রোগী তাহলে চিকিৎসা করা দরকার।

তবে আরেক ধরনের মানুষ আছে আমাদের দেশে। যারা বলে, ‘আমার তো ক্রনিক ডিসেনট্রি।’ যদি বলি, ক্রনিক ডিসেনট্রি বুঝলেন কীভাবে? বলবে, ‘আমার মলের সাথে সবসময় মিউকাস যায়, আম যায়। পেটে ব্যথা থাকে। আসলে সেগুলো আমাশয় নয়।

আরেকটি রোগ রয়েছে যেটি আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়। এটিকে বলা হয় আইবিএস। ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রম। এটা নারিভুড়ির এক ধরনের ফাংশনাল রোগ। ফাংশনাল রোগ এই জন্য বলছি যে, এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো কিছু পাওয়া যাবে না। কোনো ধরনের জীবাণু পাওয়া যাবে না।

কোনো ধরনের প্যাথলজি পাওয়া যাবে না। যদি প্যাথলজি পাওয়া না যায় একে আমরা বলি ফাংশনাল রোগ। এই রোগের একটি প্রকৃতি হচ্ছে মাঝেমধ্যে মলের সাথে আম যাওয়া। এটি আইবিএসেরই একটি লক্ষণ। এটি আমাশয় নয়।

হোমিওপ্রতিবিধানঃরোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়, এই জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকে রোগীর
পুরা লক্ষণ নির্বাচন করে চিকিৎসা দিতে পারলে তাহলে আমাশয় রোগী হোমিওতে চিকিৎসা দেয়া আল্লাহর রহমতে সম্ভব,আবার ইদানিং অনেক হোমিও চিকিৎসক বের হয়েছে তারা রোগীর লক্ষণ নির্বাচন ছাড়া, পেটেন্ট টনিক মিশ্র প্যাথি দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকে,ঐ সব ডাক্তার বাবুদের কে  ডা.হানেমান শংকর জাতের হোমিওপ্যাথ বলে থাকে।

হোমিও চিকিৎসাঃপ্রাথমিক ভাবে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ঘন যেই সব মেডিসিন ব্যাবহার করে থাকে,একোনাইট,মার্ক সল,মার্ক কর,ইপিকাক,ক্যাপ্সিকাম,কলচিকাম,কলোসিন্থ,এলোজ,নাক্সভোম, সালপার,থুজা, লাইকোপডিয়াম সহ অারো অনেক ঔষধ লক্ষণের উপর আসতে পারে, তাই মেডিসিন নিজে নিজে ব্যাবহার না করে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

লেখক, ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা,হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি
কো-চেয়ারম্যান, হোমিওবিজ্ঞান গবেষনা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: