odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Sunday, 9th November 2025, ৯th November ২০২৫

সিরাজদিখান থানার এ.এস.আই মাসুম আলীর বিচক্ষনাতায় চুরি যাওয়া নসিমন ফিরে পেলো মালিক

odhikar patra | প্রকাশিত: ২ May ২০১৯ ১৯:৩৯

odhikar patra
প্রকাশিত: ২ May ২০১৯ ১৯:৩৯

মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

মানুষ যখন গভীর নিদ্রায় বিভোর। ঠিক তখনি প্রচন্ড ঘুমের চাপ থাকার পরও মানুষের জান মালের নিরাপত্তার ডিউটিতে নিয়োজিত সারা দেশের পুলিশ সদস্যরা। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের সুফল হিসেবে সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন নিরাপদে বসবাস করার সুযোগ। সারা দেশের ন্যায় মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানা পুলিশের ডিউটিও তার ব্যতিক্রম নয়। গত বুধবার সিরাজদিখান থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মাসুম আলীসহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স রাতের ডিউটি করার দ্বায়ীত্ব পালন করে উপজেলার রশুনিয়া স্কুল সংলগ্ন মোড়ে। তখন সময় রাত ৩টা। ঠিক সেই সময় সহকারী উপ-পরিদর্শক মাসুম আলীর চোখে পরে রাস্তা দিয়ে যাওয়া তিনজন যাত্রীসহ একটি নসিমন। দূর থেকে সন্দেহ হলে নসিমনটিকে থামিয়ে নসিমনের ভিতর থাকা ব্যক্তিতের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের কথাবার্তায় গড়মিল পেয়ে নসিমনসহ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তিনি জানতে পারেন উপজেলার টেংগুরিয়া পাড়া থেকে একটি নসিমনটি চুরি হয়েছে। এর মধ্যে গাড়ীর মালিক মোঃ আসানুল বেপারী জানতে পেরে থানায় হাজির তার নসিমন ফিরিয়ে নিতে। পরে থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা নসিমনটি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলো বলে স্বীকার করে এবং তারা সিরাজগঞ্জ জেলার মৃত নুরনবীর পুত্র বাবু মিয়া, কিশোরগঞ্জ জেলার আলালউদ্দীনের পুত্র জাকির হোসেন ও নোয়াখালী জেলার মৃত আঃ খালেকের পুত্র সবুজ বলে জানায়।

গাড়ীর মালিক মোঃ আসানুল বেপারী তার চুরি যাওয়া নসিমন ফিরে পেয়ে ওই পুলিশ অফিসারের প্রতি প্রশংসা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, মাসুম আলীর মত পুলিশ অফিসার যদি সবাই হত তাহলে আমরা সাধারণ মানুষদের জান মালের নিরাপত্তার কোন চিন্তা করতাম না।

সিরাজদিখান থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মাসুম আলী বলেন, তার গাড়ী উদ্ধার করে দেওয়া আমার কাজেরই একটা অংশ। একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে মানুষের জান মালের নিরাপত্তা দেওয়াটাই আমার দ্বায়ীত্ব। মুন্সীগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম স্যারের নির্দেশে এবং সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ উদ্দিন মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় আমার উপর অর্পিত দ্বায়ীত্বগুলো যথাযথ ভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। তিনি আরো বলেন, গাড়ীর মালিকের নিকট গাড়ীটি হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ওই তিন চোরের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: