ওসি মোয়াজ্জেমের আইনজীবী মিন্নিকে আইনি সহায়তা দিতে চান
odhikar patra |
প্রকাশিত: ১৮ July ২০১৯ ১৮:৪০
odhikar patra
প্রকাশিত: ১৮ July ২০১৯ ১৮:৪০
মিন্নি ও ফারুক আহম্মেদ।
বরগুনা সদরে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেফতার তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির পক্ষে বুধবার আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। পরে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ খবর শুনে মিন্নির পক্ষে মামলা পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ফেনীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যায় গ্রেফতার সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ।
তিনি মিন্নির পক্ষে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন।
ফারুক আহম্মেদ বলেন, মিন্নির পরিবার চাইলে তার পক্ষে ফারুক অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস দাঁড়াতে চায়। ফারুক অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস সব সময় নির্যাতিত, অসহায় ও অসচ্ছল পরিবারের পক্ষে ন্যায়বিচারের জন্য মামলা পরিচালনা করে থাকে।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে মিন্নির জন্য মামলা পরিচালনা করব। এ জন্য মিন্নির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। আমরা তাকে লিগ্যাল এইড (বিনা পয়সায় মামলা পরিচালনা) দেব।’
বুধবার বিকালে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হয় রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী তার স্ত্রী মিন্নিকে। এদিন আদালতে মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সঞ্জিব দাস। তিনি আদালতকে জানান, এ ঘটনায় আইনজীবীদের কেউ আসামিদের পক্ষে নিয়োগ না হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে মিন্নির পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
মিন্নির পক্ষে আদালতে আইনজীবী না থাকার বিষয়ে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, ‘আমি তিন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তাদের দাঁড়ানোর কথা ছিল, আমার মনে হয় প্রতিপক্ষের ভয়ে তারা আমার মেয়ের পক্ষে দাঁড়াননি।’
মিন্নির বাবা আরও বলেন, আমার মেয়েকে বুধবার আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে আমার মেয়ের পক্ষে অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন, অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার নাসির ও অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদেরের দাঁড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু কী কারণে দাঁড়াননি আমি বলতে পারব না। তবে ধারণা করছি, প্রতিপক্ষের ভয়ে হয়তো কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি।’
কোন প্রতিপক্ষের কারণে আইনজীবী দাঁড়াননি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোন প্রতিপক্ষ সেটি আপনারাই বুঝে নিন। আমি বলতে গেলে বরগুনা থাকতে পারব না। এ ছাড়া খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সে কারণেই হয়তো সব কাগজপত্র প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি।’
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির অভিযোগের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা করেছিলেন ব্যারিস্টার সাইয়েদুল হক সুমন। ওই মামলায় ওসি মোয়াজ্জেমের প্রধান আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ। এর আগে তিনি পুলিশ দম্পতি হত্যা মামলার আসামি ঐশী, বিডিআর বিদ্রোহ মামলা, রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলা, হলি আর্টিজান হামলার মামলাসহ একাধিক মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: