odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

পেটে গজ রেখে সেলাই, ফের অস্ত্রোপচার ফরিদপুরে

odhikar patra | প্রকাশিত: ১৪ September ২০১৯ ০৩:৪৪

odhikar patra
প্রকাশিত: ১৪ September ২০১৯ ০৩:৪৪

ফরিদপুরে প্রসূতির পেটের ভেতর গজ-ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করার সাড়ে তিন মাস পর ফের অস্ত্রোপচার করে তা বের করা হয়েছে।

জেলা শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার বেসরকারি হ্যাপি হাসপাতালের চিকিৎসক স্বপন কুমার বিশ্বাস জানান, ফরিদা বেগম (২৬) নামে এক নারীর পেটে অস্ত্রোপচার করে তিনি এই গজ-ব্যান্ডেজ পেয়েছেন।

ফরিদা জেলার সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মাসুদ শেখের স্ত্রী।

ফরিদার স্বামী মাসুদ শেখ জানান, গত ২৫ মে জেলা শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার বেসরকারি সাফা মক্কা হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে ফরিদার মেয়ে হয়। এর তিন দিন পর ফরিদাকে ছাড়পত্র দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার পেটেব্যথা দিন দিন বাড়তে থাকে। শেষে হ্যাপি হাসপাতালে নিয়ে আলট্রাসনোগ্রাম করলে গজ-ব্যান্ডেজ মেলে।

চিকিৎসক স্বপন বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে কয়েক ইঞ্চি পরিমাপের এক টুকরো গজ-ব্যান্ডেজ বের করেছি।

“রোগীর অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন ছিল। সিজারের সময় রোগীর পেটে গজ-ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করা হয়। সেটা পচে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বর্তমানে রোগী সুস্থ আছেন। তিনি শংকামুক্ত।”

সাফা মক্কা হাসপাতালের চিকিৎসক শ্যামল কুমার বিশ্বাস অস্ত্রোপচারের সময় এই গজ-ব্যান্ডেজ পেটে রেখেই সেলাই করেন বলে স্বজনদের অভিযোগ।

এ বিষয়ে চিকিৎসক শ্যামল বলেন, ওই রোগীর অস্ত্রোপচার তিনি করেছিলেন কিনা তা এখন আর স্মরণ করতে পারছেন না।

“খাতাপত্র না দেখে কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”

এ ঘটনায় পেটব্যথার চিকিৎসা খরচ বাবদ ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ফরিদার স্বামী মাসুদ শেখ। তাছাড়া তিনি দায়ী চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকের বিচার চেয়েছেন।

বিডিনিউজ 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: