odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 24th October 2025, ২৪th October ২০২৫

প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতির আওতায় সকলকে কাজ করতে হবে : শেখ হাসিনা

Admin 1 | প্রকাশিত: ২০ April ২০১৭ ০৮:২৭

Admin 1
প্রকাশিত: ২০ April ২০১৭ ০৮:২৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মানসিক অসামঞ্জস্যতা নিয়ে জন্মলাভ করা শিশুদের কল্যাণের উপায় খুঁজে বের করতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতির আওতায় সকলের পদক্ষেপ প্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা ২০৩০ এর এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে রয়েছি সেহেতু সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাদের প্রয়াসকে আরো জোরদার করা প্রয়োজন-বিশেষ করে যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে তাদের জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ভুটানের রাজধানীতে অটিজম বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এক উচ্চ পর্যায়ের অলোচনায় সভাপতিত্বকালে এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
‘এনাবলিং কান্ট্রিস টু সাকসেসফুলী আড্রেস অটিজম এন্ড আদার নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার্স (এনডিডি) এজ এ পার্ট অব দেয়ার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস,’ শীর্ষক এই আলোচনার সভাপতি আরো বলেন, যারা অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (এএসডি) এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারে (এসডিডি) আক্রান্ত তারাই কিন্তু ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
বাংলাদেশ এবং ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ভুটানের রাজধানী থিম্পুর রয়্যাল ব্যাংকুয়েট হলে এই তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
সম্মেলনে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে সূচনা ফাউন্ডেশন, এ্যাবিলিটি ভুটান সোসাইটি (এবিএস) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কার্যালয়।
উচ্চ পর্যায়ের আলোচনাটির সঞ্চালনা করেন অটিজম এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বিষয়ক বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অটিজম বিষয়ক চ্যাম্পিয়ন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।
ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ডা. পুনম খেতরাপাল সিং আলোচনায় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভীও বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার একটি জটিল নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার (এএসডি) যেটি মস্তিষ্ক বা সেন্টাল নার্ভাস সিস্টেম গড়ে ওঠার সময় প্রতিবন্ধিতার সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, ব্যক্তি, তার পরিবার ও বসবাসকারী সমাজের মানসিক গঠনে, অনুভূতি প্রবণতায়, শারীরিক ও অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দতার ক্ষেত্রে ‘নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই মানসিক অসাঞ্জস্যতা শুধু আক্রান্ত ব্যক্তির শিক্ষাক্ষেত্রে সামাজিক ও কর্মজীবন এবং মানবাধিকারকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বৃহত্তর পরিসরে তার দেশের অর্থনীতি এবং সামাজিক উন্নয়নকেও ব্যাহত করে।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ডেভেলপমেন্টাল ও নিউরোলজিকেল ডিজঅর্ডার। এটি প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক ২০৩০ এজেন্ডার ২৬ নম্বর প্যারায় জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির কথা বলা আছে। এ ক্ষেত্রে আরো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এসডিজি’র যে প্রভিশন ফ্রেম ওয়ার্ক রয়েছে, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো এএসডি এবং এনডিডি বিষয়ে আমাদের কাজের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন দিক-নির্দেশনা নেই। তিনি বলেন, এএসডি বিষয়ে আমাদের কাজে উচ্চ পর্যায়ের এই সেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি সেশনের বক্তারা ২০৩০ এসডিজি’র আলোকে এএসডি ও এনডিডি বিষয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ কাজের জন্য কিছু দিক-নির্দেশনা দিতে সক্ষম হবেন।
জিগমে দোর্জি ওয়াংচুক ন্যাশনাল রেফেরাল হাসপাতালের শিশু রোগ বিষয়ক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মিমি লামু মায়নাক সেশনে বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্লোবাল পার্টনার্স ইউনাইটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ইভালিয়ন চেরো। শেখ হাসিনা শিশু ও পরিবারের জন্য আগাম সতর্কতা বিষয়ে তার সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করায় প্রফেসর চেরোকে ধন্যবাদ জানান। প্রফেসর চেরোর বক্তব্যে সেভেন সেন্সের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে।
সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘এএসডি এবং অন্যান্য নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার নিয়ে বসবাসকারী ব্যক্তি,পরিবার এবং তার সমাজের জন্য কার্যকর ও টেকসই বহুমাত্রিক কর্মসূচির উন্নয়ন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে সকালে গেস্ট অব অনার হিসেবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে বক্তব্য রাখেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: