odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Saturday, 15th November 2025, ১৫th November ২০২৫

ব্রিসবেনে মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মাননা দিয়েছে ব্যাব

Admin 1 | প্রকাশিত: ২০ April ২০১৭ ০৮:৩০

Admin 1
প্রকাশিত: ২০ April ২০১৭ ০৮:৩০

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ব্রিসবেনে আসবেন শুনেই মনের মধ্য উসখুস করছিল। বিখ্যাত এই মানুষটির কাছে কীভাবে যাওয়া ও ছবি তোলা যায়। মনের কোণে লুকায়িত এই ইচ্ছাপূরণের সুযোগটা একটু বড় পরিসরে করে দিল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিসবেন ইনক (ব্যাব)। গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলে ব্যাবের নতুন নির্বাচিত নির্বাহী কমিটি তাঁর সঙ্গে দেখা করে। এ সময় ব্যাবের পক্ষ থেকে মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘শুভেচ্ছা স্মারক’ প্রদান করা হয়। অনাড়ম্বর এই আয়োজনে ব্রিসবেন বাংলা রেডিও, ব্রিসবেন বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল, সোসাইটি অব বাংলাদেশি ডক্টরস ইন কুইন্সল্যান্ড এবং বাংলাদেশ পূজা ও কালচারাল সোসাইটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আসলে সুযোগ পাওয়া নয়, অনেকটা তদবির করে সুযোগ বের করা হয়েছে। অনেক দেন-দরবারের পর অবশেষে বরফ গলল মানে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি মিলল। তাও আবার অনেক শর্তযুক্ত! মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী ও গ্রিফিত বিশ্ববিদ্যালয় (যাদের আমন্ত্রণে মুহাম্মদ ইউনূসের ব্রিসবেনে আসা) কর্তৃপক্ষ ব্যাবকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল ১০ জন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন, মাত্র ১০ মিনিটের জন্য! তাও আবার রাতে তাঁর থাকার হোটেলে। নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো, অগত্যা তাদের শর্ত মেনে আমরা প্রস্তুতি শুরু করলাম।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ব্রিসবেনে আসবেন শুনে অধিকাংশ বাংলাদেশিদের চাওয়া ছিল তার সঙ্গে দেখা করার। আর সে কারণেই পরিকল্পনা ছিল তাঁকে ব্যাবের পক্ষ থেকে বেশ বড়সড় করেই সম্মাননা দেওয়া হবে।
এদিকেতো আমাদের ত্রাহি অবস্থা, কাকে রেখে কাকে নিই। যেহেতু আমরা সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে ডাকতে পারছি না তাই ব্যাবের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তে ব্রিসবেনে বাংলাদেশিদের উল্লিখিত পাঁচটি সংগঠনের সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ব্যাব ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারামুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ব্যাব ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা

আমাদের আগে থেকেই জানানো হয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের সময় খুবই কম। যা করতে হবে তা দ্রুত ও সময় অনুযায়ী। আমরা আগে থেকেই জানতাম গ্রিফিত বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘থ্রি জিরো’ লেকচার শেষ করে হোটেলে ফিরলে আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করব। সে অনুসারে আমরা ব্যাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য বিকাশ সিকদার, তুলি নূর, কামরুল হাসান শামীম, আসিফ ইকবাল, মাহমুদুল আলম খান ও ফারুক রেজা হোটেলে উপস্থিত ছিলাম। এ ছাড়া ব্রিসবেন বাংলা রেডিওর রাজিবুর রেজা, ব্রিসবেন বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলের মাহী মোরশেদ, সোসাইটি অব বাংলাদেশি ডক্টরস ইন কুইন্সল্যান্ডের ড. জামিল আহমেদ এবং বাংলাদেশ পূজা ও কালচারাল সোসাইটির দেবদাস গুহ।
শুরুতেই বিকাশ সিকদার ব্যাবের নির্বাহী সদস্যদের মুহাম্মদ ইউনূস কাছে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি সকলের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে কথা বলে ব্রিসবেনে কে কোথায়, কি করছেন, শহরে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সংখ্যা কেমন ইত্যাদি নান বিষয়ে জানতে চান। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের একত্রিত হয়ে থাকার গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এতে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি বাড়ে। তা ছাড়া নিজ দেশের লোকদের চাকরি-বাকরিসহ নানা পেশায় নিয়োজিতদের উন্নয়ন তাড়াতাড়ি হয়। ‘সোশ্যাল বিজনেস’ প্রসারে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভূমিকা রাখতে পারবেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিদেশে এসে শুধু চাকরির মানসিকতা নয়, নিজে এমন কিছু করার চিন্তা করতে হবে যাতে মানুষকে দিতে পারা যায়। এ পর্যায়ে তিনি গ্রিফিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার’ চালু হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
আয়োজনের শেষ ভাগে মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিজবেনের পক্ষ থেকে ‘শুভেচ্ছা স্মারক’ প্রদান করা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: