ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

উত্তরা থেকে ভুয়া এমএলএম কোম্পানীতে অভিযান চালিয়ে

odhikar patra | প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ২৩:৩৭

odhikar patra
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ২৩:৩৭

রাজধানী ঢাকার উত্তরা থেকে লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ভুয়া এমএলএম কোম্পানীতে অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ২৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রোববার রাতে র‌্যাব-১১’র অভিযান চালিয়ে ওইসব প্রতারকদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে ১০১ জন প্রতারিত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে।  গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমান নথিপত্র জব্দ করা হয়।
র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলো, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ গোলাম কিবরিয়া, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, বিপুল চৌধুরী, সালমান ফারসি, মোঃ সেলিম রেজা, ৭। মোঃ খায়রুজ্জামান টিটু, মোঃ আলী আকবর, সুজন মিয়া, মোঃ কামরুল আহসান, মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ সুমন মুন্সী, মোঃ রেজাউল করিম, মোঃ ইসমাইল হোসেন,  মোঃ সোহাগ, মোঃ ইসমাইল হোসেন,  মোঃ আল আমিন, মোঃ মোবারক হোসেন, মোঃ আরিফুল ইসলাম যাদু, মোঃ মেহেদী হাসান, মোঃ মাইদুল ইসলাম,  রাকিব শেখ ও মোঃ সাদ্দাম হোসেন।
গতকাল সোমবার বিকেলে র‌্যাব-১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতারিত ও ভূক্তভোগী কয়েক জনের কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং অনুসন্ধানে প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে র‌্যাব-১১, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১০নং সেক্টরের ৭নং রোড হতে “লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড” নামে এমএলএম কোম্পানীতে অভিযান পরিচালনা করে প্রতারকচক্রের ২৪ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও জব্দকৃত নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায় যে, উক্ত “লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড” নামে ভুয়া এমএলএম কোম্পানী মাসিক ১৬ হাজার ও তদুর্ধ টাকা বেতনের প্রতিশ্রুতিসহ লোভনীয় অফার দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে চাকুরী প্রত্যাশী বেকার যুবক-যুবতীদের ফাঁদে ফেলে। ভর্তির শুরুতে কোম্পানীর আর্থিক লাভ ও পণ্য বিক্রির কমিশনের আশ¡াসে বাধ্যতামূলক জামানত হিসাবে জন-প্রতি ৫৫ হাজার বা তদুধর্¡ টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে প্রশিক্ষনের নামে সপ্তাহ খানেক কালক্ষেপন করে প্রত্যেককে নতুন ২ জন সদস্য সংগ্রহের শর্ত প্রদান করে। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে দিলে সংগৃহীত টাকার সামান্য কমিশন প্রদান করে। নতুন সদস্য দিতে না পারলে কুট-কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে খালি ষ্ট্যাম্প ও আপোষনামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে তাড়িয়ে দেয়। প্রতিবাদ করলে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনও করে থাকে।
অভিযানে ভুয়া এমএলএম কোম্পানীর প্রশিক্ষণের নামে সেমিনার কক্ষ হতে প্রতারণার শিকার ১০১ জন ভূক্তভোগীদের উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও উক্ত কোম্পানীর অফিস থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৮টি মনিটর, বিপুল সংখ্যক নথিপত্র ও নগদ ৩১ হাজার ২শ’ টাকা উদ্ধার করা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: