
পর্তুগালের মধ্যাঞ্চলের দাবানলের ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ২৫-এ দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা।
আজ রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই রাজধানী লিসবন থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং কোয়িমব্রা থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে পেদ্রোগাও গ্রান্দে এলাকার রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় দাবানলের কবলে পড়েন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দাবানলের ঘটনায় দমকলকর্মীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
পর্তুগালের মধ্যাঞ্চলে মৌরিসকো গ্রামের একটি বন থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে দেখা যাচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে একটি ভয়াবহ ও খুবই দুঃখজনক ঘটনা প্রত্যক্ষ করলাম আমরা। প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দে সুজা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন।’
এর আগে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ গোমেজ বলেছিলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জন গাড়ির ভেতরে বদ্ধ অবস্থায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন দমকলকর্মী রয়েছেন। দুজন নিখোঁজ আছেন।
পর্তুগালের পেদ্রোগাও গ্রান্দে জেলার তোজেইরা এলাকার একটি বনে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ছবি: রয়টার্স
তীব্র তাপ ও প্রবল বাতাসের কারণে গত শনিবার বিকেল দিকে দাবানল আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। স্থানীয় ঘরবাড়িসহ চারদিকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সেই আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রায় ১ হাজার ৭০০ দমকলকর্মী চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে আজ ভোরে স্পেন থেকে জল নিয়ে দুটি উড়োজাহাজ যোগ দিয়েছে। বনে কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনো জানা যায়নি। গত এক দশকের মধ্যে দেশটিতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: