ঢাকা | শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা বড় ও ছোট কাটরার পূর্ণ সংস্কার করা হবে : মেয়র তাপস

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:০১

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:০১

 ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা বড় ও ছোট কাটরার পূর্ণ সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

আজ বুধবার দুপুরে বড় ও ছোট কাটরা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, বিভিন্ন গোষ্ঠী-স্বার্থান্বেষী মহল এটা দখল করেছে, ভেঙে ফেলেছে, নষ্ট করেছে। ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলো নষ্ট করতে দেয়া হবে না। পুরোটা নিয়েই এটা পূর্ণ সংস্কার, সংরক্ষণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হওয়া স্বত্বেও কিভাবে এটা ভাঙ্গা হয়েছে তা খতিয়ে দেখার ঘোষণা দিয়ে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার একটি বৃহত্তম অংশ বড় কাটারা ও ছোট কাটারা। গত পরশু দিন পত্রিকায় দেখলাম, সেই বড় কাটরার একটি অংশ এক ব্যক্তি ভেঙ্গে ফেলছে। সেটা দেখে তিনি  অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। আর কোনও অংশ যাতে ভাঙ্গা না হয় সেইজন্য সাথে সাথেই তিনি স্থাপনাটি সিলগালা করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপরে তিনি প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘এটা মোগল শাসনামলে মীর আবদুল কাশেম এবং শায়েস্তা খান নির্মাণ করেছেন। পরবর্তীতে এটা সরকারের হাতেই ন্যস্ত হওয়ার কথা। হয় জেলা প্রশাসনে ন্যস্ত হবে, না হলে সিটি করপোরেশনে ন্যস্ত হবে। না হলে প্রতœতত্ত্ব বিভাগ অথবা গণপূর্তের অধীনে ন্যস্ত হবে। এটা সরকারের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। কিন্তু হয়তোবা সরকারি সংস্থার অবহেলায় কিংবা এদিকে নজর না দেওয়ায় বিভিন্ন গোষ্ঠী-স্বার্থান্বেষী মহল এ সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। এই ঐতিহ্য সংরক্ষণের উপলব্ধি তো সবার মাঝে থাকতে হবে। এগুলো যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে ঢাকার কিন্তু আর কোনও পরিচিতি থাকবে না। ঢাকার আর কোনো স্বত্ত্বা থাকবে না। সুতরাং এগুলো যেভাবেই হোক, যত বড় স্বার্থন্বেষী মহলই থাকুক না কেন, এটা সংরক্ষণ করা হবে।
এ সময় ব্যারিস্টার তাপস বড় কাটরা এলাকার সংশ্লিষ্ট স্থাপনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলেও সাংবাদিকদের অবগত করেন।   
এরআগে মেয়র তাপস কাঁচপুরে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি আগামি ২ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম-সিলেট বিভাগের বাস যাত্রীদের প্রাথমিক যাত্রীসেবা দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এরপরে তিনি ধানমন্ডি হ্রদের ২ নম্বর সেক্টরে বজরা রেস্তোরাঁ উদ্বোধন করেন।         
করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন ও খায়রুল বাকের, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: