
দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জাতীয়ভিত্তিক লার্নিং এসেসমেন্ট অব সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস-২০১৭ (লাসি-১৭) কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মঙ্গলবার ঢাকার বাংলামাটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন উইং এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাতীয় পর্যায়ে ৬ষ্ঠ, ৮ম ও ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিখনমান মূল্যায়নের লক্ষ্যে লাসি-২০১৭ কার্যক্রম গ্রহন করা হয়েছে। এর আওতায় ২০১৭ সালে সারা দেশের ৬৪টি জেলার ৮০টি উপজেলার প্রায় ৯০০টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮১,০০০ শিক্ষার্থীর অভীক্ষা মূল্যায়ন করা হবে। শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজী ও গনিত বিষয়ের শিখণমান মূল্যায়ন করা হবে।
লার্নিং এসেসমেন্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক শিখন যোগ্যতা পরিমাপ করা, এর ফলাফল বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করা, শিক্ষার্থীদের আঞ্চলিক ও এলাকাগত বৈষম্য পরিমাপ করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধরণ ও আন্তঃবিদ্যালয় বৈষম্য পরিমাপ করা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার বড় ধরণের পরিবর্তন চাই। এ খাতের ব্যাপক উন্নতি ও গুনগত মান বৃদ্ধি করতে চাই। এজন্য এ ধরণের মূল্যায়ন প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, গুনগত মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য ভাল মানের শিক্ষক প্রয়োজন। তাই, শিক্ষার্থীদের মুল্যায়নের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও মূল্যায়নের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। শিক্ষকদের মান বৃদ্ধি এবং এ বিষয়ে সঠিক নীতি গ্রহনের জন্য শিক্ষকদের মূল্যায়নের বিষয়টি যুক্ত করা প্রয়োজন। শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য অভিভাবকদেরও সচেতন হওয়ার আহবান জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, শিক্ষার মান বৃদ্ধি সারা পৃথিবীতেই এখন একটি আলোচিত বিষয়। এটা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়। এজন্য জাতিসংঘ এসডিজি-৪ গ্রহন করেছে।
মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দিন খান, সেকায়েপ প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহামুদ-উল-হক, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি টি এম আসাদুজ্জামান এবং মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন উইং-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সেলিম মিয়া বক্তৃতা করেন। আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ (এসিএআর)-এর প্রতিনিধি অমিত কৌশিক লাসি-২০১৭ বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা পেশ করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: