ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১
ঢাবিতে কালো দিবসের সমাবেশে বক্তারা

অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার থাকতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০১৭ ২০:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০১৭ ২০:০৯



নানা আয়োজনে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কালো দিবস’ পালিত হয়েছে। ২০০৭ সালের আগস্টের এই দিনে (২৩ আগস্ট) সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী তথা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের উপর সংঘটিত অমানবিক, বেদনার্ত ও নিন্দনীয় ঘটনার স্মরণে এই দিবসটি প্রতিবছর পালন করা হয়ে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কালো ব্যাজ ধারণ করেন। দুপুরে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকবৃন্দের’ ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, ২০০৭ সালে ২০-২৩ আগস্টে তৎকালীন সেনাবাহিনী কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের গায়ে হাত তোলা ও অগণতান্ত্রিক শক্তি তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আড়ালে চলা সেনা শাসনের প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও দেশের সাধারণ জনতা। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মসনদ ঠেকাতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। কিন্তু সে সময় তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। তাদের ষড়যন্ত্র শক্তভাবে প্রতিহত করেছিল শিক্ষক-ছাত্র সমাজ। ভবিৎষতে এ ধরণের অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার থাকতে হবে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সেনাবাহিনী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা চেয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দমিয়ে রাখতে পারলে দেশকে দমিয়ে রাখা যাবে। কিন্তু তাদের সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। তাদের ষড়যন্ত্র শক্তভাবে প্রতিহত করেছে শিক্ষক-ছাত্র সমাজ। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিকে সব ধরণেল দ্বিধাবিভক্তির রাজনীতি থেকে বের হতে হবে। এর মধ্যে যারা এখনো পাকিস্তানের প্রেতাতœার গুণগান করছেন তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: