ঢাকা | সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরো এককোটি ২০ লাখ ইউরো দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য।

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:৩৮

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:৩৮

মিয়ানমারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সম্মতিপত্র অনুযায়ী, ১৯৯২ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত যৌথ ঘোষণার আলোকে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া নিজ দেশের অধিবাসীদের ফেরত নেবে মিয়ানমার।

যুক্তরাজ্য সরকারের উন্নয়ন সংস্থা ডিএফআইডির সেক্রেটারি পেনি মরডন্ট কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে শনিবার নতুন করে এই অর্থ সহায়তার ঘোষণা দেন বলে সোমবার ঢাকার যুক্তরাজ্য হাই কমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।এতে বলা হয়, এবারের এক কোটি ২০ লাখ ইউরো অর্থ সহায়তা নিয়ে ২৫ অগাস্টের পর থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাজ্যের সহায়তার মোট পরিমাণ দাঁড়াবে পাঁচ কোটি ৯০ লাখ ইউরোতে।চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কটের মধ্যে নতুন এই অর্থ সহায়তা জরুরি খাদ্য সরবরাহ এবং আসছে ফেব্রুয়ারি থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য বৈশ্বিক অর্থ সহায়তা কমতে শুরু করার মধ্যে কারও জীবন যেন ঝুঁকির মুখে না পড়ে তা নিশ্চিতে ব্যয় হবে।যুক্তরাজ্য এখনকার মতো ভবিষ্যতেও এ সঙ্কটে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন কক্সবাজারে উদ্বাস্তু ক্যাম্প সফর করে আসা ডিএফআইডি সেক্রেটারি মরডন্ট।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্বাস্তু ক্যাম্প সফরকালে তিনি রাখাইন থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত অনেক নারী-পুরুষ ও শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের প্রতি অত্যাচার-নির্যাতনের বর্ণনা শোনেন।রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যূত করার ঘটনাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান আখ্যায়িত করে পেনি মরডন্ট বলেন, “বার্মিজ সেনাবাহিনীকে এই অমানবিক সহিংসতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। বার্মায় যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে জন্য শর্তহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর নিশ্চয়তা দিতে হবে। পরিবারগুলোর নিজেদের বাড়িঘরে ফেরা অবশ্যই নিরাপদ ও সম্মানজনকভাবে হতে হবে।”গত অগাস্টের শেষ দিকে রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের মুখে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। রাখাইনে দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে আগে থেকে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বাস করে আসার মধ্যে এবার এসেছে সোয়া ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা।তাদের জন্য বিভিন্ন দাতাসংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে জরুরি খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তা সরবরাহের পাশাপাশি রাখাইনের জনগোষ্ঠীকে ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক পর্যায়ে চাপও জোরদার করা হয়।সঙ্কট সমাধানে কূটনৈতিকভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্পৃক্তের চেষ্টার পাশাপাশি মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরুর পর রোহিঙ্গা ফেরতে দেশটির সঙ্গে ইতোমধ্যে একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: