ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’র গল্প বাদ দিতে আইনি নোটিশ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ ২০:৩৩

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ ২০:৩৩

সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে তাদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান শিক্ষক আসিফ মাহতাব। পরে তাকে চাকরিচ্যুত করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক।

এ ঘটনার পর সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ব‌ই থেকে ‘শরীফ ও শরীফার গল্প’ বাদ দিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ মাহমুদুল হাসান।

বৃহস্পতিবার (২৫ শে জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবির) চেয়ারম্যানকে বিবাদী করে আইনি নোটিশটি পাঠান তিনি। 

আইনি নোটিশে বলা হয়, সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তকে এই গল্পের মাধ্যমে বিকৃত যৌন রুচির ও মানসিক বিকারগ্রস্ত ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই মানসিক বিকারগ্রস্ত ট্রান্সজেন্ডারদের কার্যকলাপ সুকৌশলে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করে দেশে প্রচার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এতে করে দেশের আপামর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২-ক অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হলো ইসলাম। অপরদিকে সংবিধানের মৌলিক অধিকার অনুচ্ছেদ ৪১(১) অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের ধর্ম পালন করার অধিকার রয়েছে। এক্ষেত্রে দেশের পাঠ্য পুস্তকে ট্রান্সজেন্ডারদের কার্যকলাপ প্রচারের মাধ্যমে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করা হচ্ছে। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী বিকৃত যৌনাচার ও সমাকামিতা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তাই মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মবিশ্বাসে আঘাতের মাধ্যমে দণ্ডবিধির ২৯৫-এ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে যা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আইনি নোটিশটি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ব‌ই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্প বাদ দেয়াসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব‌ইয়ের দোকান থেকে এই ব‌ই প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের সংশোধিত ব‌ই সরবরাহ করতে হবে। অন্যথায় এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: