বাংলাদেশ মেস সংঘ (বিএমও) হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে নতুন বছর ২০২৫ সালে বাড়ি ভাড়া বাস্তবায়ন ও স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানিয়েছে। এ দাবিতে আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএমও’র উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। বিএমও মহাসচিবও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে দু’বার প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মেয়র প্রার্থী আয়াতুল্লাহ আকতারের সভাপতিত্বে এতে সংহতি প্রকাশ করেন নতুনধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, বাংলাদেশ ন্যাপ-এর চেয়ারম্যান মো. শহিদুন্নবী ডাবলু প্রমুখ। বিএমওর মহানগর সভাপতি সৈয়দ আখতার সিরাজীর সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন মো. বোরহান উদ্দিন, শাকিল উদ্দিন, মো. হাসান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি রয়েছে। কিন্তু ভাগের নির্মম ও নিষ্ঠুর পরিহাস স্বাধীনতার ৫০বছরেও দেশের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়নি। অনেক মানুষ এখনো গৃহহীন। দ্বিতীয়ত যারা শহরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন তারা বাড়ি ভাড়ার যন্ত্রণা যে কি জিনিস তা হরহামেশা উপলদ্ধি করছেন। এক ধরনের বাড়ী মালিক নীতি-আদর্শ ও নিয়ম উপেক্ষা করে পথভ্রষ্ট ও বিপথগামী মানুষের ন্যায় স্বপ্রনোদিত হয়ে আপন মর্জিতে বাসা ভাড়া বৃদ্ধি করছে। কেউ কেউ মেস ভাড়া দিতেও তরুনদের প্রতি ব্যাঙ্গাত্মক নজর প্রদর্শন করে থাকেন। যা শুনতে শুধু অশোভনীয়ই নয়, অকল্পনীয়, অনাকাঙিক্ষতও অনভিপ্রেত। আর যারা ব্যাচেলদের বাড়ি ভাড়া প্রদান করেন তাদের অনেকেই বছর শেষে ভাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধি করেন। শহরের বাড়ি ভাড়া স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শহরের মানুষ বাড়ি ভাড়ার বিড়ম্বনায় এক বৈপরিত্যের মধ্যে অবস্থান করছে।
বিশেষ করে চাকুরিজীবী, শ্রমজীবী, শিক্ষার্থীরা প্রতি নতুন বছরে মেস/বাড়ি ভাড়া নিয়ে অতিশয় মহাবিড়ম্বনায় বিস্ময়াভিভূত হয়ে পরে। তাদের আয়ের সিংহভাগ বাড়ি ভাড়ায় চলে যায়। আসন্ন নতুন বছর ২০২৫ সালে লাগামহীন বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি কারো কাম্য নয়। আমাদের দাবি অযৌক্তিকভাবে কোন অবস্থাতেই বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করা যাবে না। বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। মানববন্ধন থেকে মেস সংঘের পূর্ব ঘোষিত ১৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: