ঢাকা | শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

গলাচিপায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২ জনকে কুপিয়ে জখম, হাসপাতালে ভর্তি

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:১৭

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:১৭

স্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালীঃ 

পটুয়াখালীর গলাচিপায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে (প্রতিপক্ষের বাড়িতে হাঁস যাওয়ায়) ২ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। গুরুতর আগত ভিকটিম মা ও ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ছোট গাবুয়া গ্রমের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, আতাহার খন্দকার এর সাথে প্রতিপক্ষ মালেক খন্দকার (৪৫) ও আসাদুল খন্দকার (৩৫) এর পূর্ব থেকেই শত্রুতা চলে আসছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ১২ টার দিকে আতাহার খন্দকারের হাঁস প্রতিপক্ষের বাড়িতে গেলে এ নিয়ে দু’পক্ষ ঝগড়াঝাটি করে। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মালেক খন্দকার ও আসাদুল খন্দকার চাপাতি ও বগিদা দিয়ে আতাহার খন্দকার এর ঘরে ঢুকে তার স্ত্রী মোসা. লুৎফা বেগম (৫০) এবং ছেলে রাহাত খন্দকার (২২) কে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করা গলাচিপা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে লুৎফা বেগমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এ বিষয়ে আতাহার খন্দকার (৬০) জানান, মালেক খন্দকার ও আসাদুল খন্দকার কখনোই আমাদের ভাল চায় না। সামান্য বিষয়ে নিয়ে তারা প্রায়ই আমাদের সাথে ঝগড়া করত। অনেক আগে থেকেই তারা আমাদের ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমি কৃষি কাজ করি। আমার তরমুজের ব্যবসা আছে। আমি তরমুজ বিক্রির ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে জমি রাখব তাই ঘরে রেখেছিলাম। তারা জানত যে, তরমুজ বিক্রির টাকা আমার ঘরে আছে। তাই তারা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং পূর্ব শত্রুতার কারণে আমার ঘরে ঢুকে আমার স্ত্রী মোসা. লুৎফা বেগম এবং আমার ছেলে রাহাত খন্দকারকে কুপিয়ে জখম করে। তারা আমার ঘরে থাকা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে তারা আমার টাকাগুলো নিয়ে যায়। এ বিষয়ে গুরুতর আহত মোসা. লুৎফা বেগম (ভিকটিম) বলেন, তারা আমাদেরকে বাড়ি থেকে উৎখাত করতে চায়। এ নিয়ে তারা পূর্ব থেকেই আমাদের সাথে শত্রুতা করে আসছিল। আমাদের হাঁস মালেক খন্দকার ও আসাদুল খন্দকারের উঠানে যাওয়ায় তারা আমার ঘরে ঢুকে আমার মাথায়, পিঠে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে জখম করে মাটিতে ফালাইয়া দেয়। আমার ছেলে রাহাত আমাকে বাঁচাতে আসলে তারা আমার ছেলেকে এলোপাথারীভাবে মারধর করে এবং হাত পায়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তারা আমার বাক্স ভাংগিয়া আমার স্বামীর কষ্টার্জিত তরমুজ বিক্রির ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আহত রাহাত বলেন, প্রতিপক্ষরা আমাদের প্রতিবেশী। তারা আমার মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের ঘরে ঢুকে এলোপাথারীভাবে চাপাতি এবং বগিদা দিয়ে কোপাতে থাকে। আমি এগিয়ে গেলে তারা আমাকেও কুপিয়ে জখম করে এবং আমাদের ঘরে থাকা টাকা নিয়ে যায়। এ বিষয়ে মালেক খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে আসাদুল খন্দকারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারা আমাদের প্রতিবেশী এবং আত্মীয়। আমরা একই বাড়িতে থাকি। তাদের সাথে কথার কাটাকাটি তারাও আমাদের উপর চড়াও হয়। আমরাও আহত হয়েছি। এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা বলেন, আমাদের এখানে মোসা. লুৎফা বেগম এবং রাহাত খন্দকার নামে দুজন গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি হয়। লুৎফা বেগমের অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। রাহাতের হাতে এবং লুৎফা বেগমের মাথায়, পিঠে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ।এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: