
রাসেল ভাইপার সাপসহ থাইল্যান্ড থেকে আগত একজন ভারতীয় নাগরিককে মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়েছে। তিনি এই সাপগুলো পাচার করে এনেছেন।
মুম্বাই কাস্টমসের বরাত দিয়ে রোববার রাতে এএফপি জানায়, যাত্রীটির চেক-ইন লাগেজে ৪৪টি ইন্দোনেশিয়ান পিট ভাইপার লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় ঐ ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
তবে তার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। তার কাছে আরো তিনটি স্পাইডার-টেইলড হর্নড ভাইপার ছিল। এই সাপগুলো বিষধর, তবে সাধারণত ছোট পাখি শিকার করে। এর পাশাপাশি পাঁচটি এশীয় পাতাকচ্ছপও ছিল তার কাছে।
মুম্বাই কাস্টমস উদ্ধার করা সাপ ও কচ্ছপের ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, নীল ও হলুদ রঙের বিষধর সাপগুলো একটি বালতিতে কিলবিল করছে।
মুম্বাই বিমানবন্দরে সাপ জব্দ করা তুলনামূলক বিরল ঘটনা। কাস্টমস কর্মকর্তাদের স্বর্ণ, নগদ অর্থ, গাঁজা কিংবা যাত্রীদের পেট থেকে কোকেইনের বড়ি উদ্ধার করতে বেশি দেখা যায়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুম্বাই বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তারা একজন পাচারকারীকে পাঁচটি সিয়ামাং গিবনসহ আটক করেছিলেন। এগুলো হচ্ছে ছোট আকৃতির বানর যা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের বনাঞ্চলে পাওয়া যায়।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক সংরক্ষণ সংস্থা (আইইউসিএস) ঘোষিত সংকটাপন্ন হিসেবে তালিকাভুক্ত ঐ প্রাণীগুলো এক যাত্রীর ট্রলি ব্যাগের মধ্যে থাকা প্লাস্টিকের বাক্সে খুবই চতুরতার সাথে লুকানো ছিল।
গত নভেম্বরে থাইল্যান্ডফেরত এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ১২টি জীবন্ত কচ্ছপ। এর আগের মাসেই একই রকম ফ্লাইটে চারটি হর্নবিল পাখি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া সেপ্টেম্বর মাসে দুই যাত্রীর কাছ থেকে উদ্ধার হয় পাঁচটি অপ্রাপ্ত বয়সী কাইম্যান যা একধরনের কুমির প্রজাতির সরীসৃপ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: