odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২

নিউইয়র্কে “কক্ষপথ’৭১” প্রতিবাদ সমাবেশ: মুক্তিযুদ্ধ ও ৭২-এর সংবিধান রক্ষার আহ্বান

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৫০

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৫০

নিউইয়র্ক, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ – প্রবাসী আইনজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে “কক্ষপথ’৭১” নামের একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে নিউইয়র্কের জুইস সেন্টারে। সমাবেশটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সচল রাখা, ১৯৭২ সালের সংবিধান রক্ষা এবং আইনশৃঙ্খলা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় উৎসর্গ করা হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কক্ষপথ’৭১-এর আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শেখ আখতার উল ইসলাম। সভার সঞ্চালনা করেন যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মিয়া জাকির। শুরুতে পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল এবং ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ রঞ্জন কর, বাপসনিউজ সম্পাদক হাকিকুল ইসলাম খোকন, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ বখতির আলী, এবং আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক।

সমাবেশের মূল বক্তব্য

অ্যাডভোকেট মিয়া জাকির কক্ষপথ’৭১-এর উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বাঙালি জাতির স্বকীয়তা ও জাতিসত্তাকে রক্ষা করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ১৯৭২ সালের সংবিধান এবং সমাজতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ নীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা অপরিহার্য।”

 

সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশকে হুমকির মুখে ফেলার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বক্তারা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জের দিকে সতর্ক করে দেন।

কক্ষপথ’৭১-এর প্রধান দাবিসমূহ

  1. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান রক্ষা: রাষ্ট্র পরিচালনায় ১৯৭২ সালের সংবিধান ও স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চারনীতি (জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা) প্রধান ভিত্তি হবে।
  2. ধর্মনিরপেক্ষ ও মানবিক রাষ্ট্র: সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত এবং মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।
  3. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য: অভিন্ন ও মানবিক শিক্ষাব্যবস্থা, সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি প্রয়োগ।
  4. গণপরিবহন ও প্রশাসন: সাশ্রয়ী ও নিরাপদ সরকারি পরিবহন ব্যবস্থা, জনসেবা নিশ্চিতকারী স্বচ্ছ প্রশাসন এবং দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।

 

সমাবেশের শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। আহ্বায়ক শেখ আখতার উল ইসলাম সকলকে কক্ষপথ’৭১-এর কার্যক্রমকে সুসংঘঠিত করার আহ্বান জানান এবং প্রতিবাদ সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: