odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে হলফনামা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দিল জামায়াতে ইসলামী

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৫৩

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৫৩

জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার শর্ত হিসেবে সাংবিধানিক আদেশ ও জুলাই সনদ মান্য করার আহ্বান

 

ডেক্স প্রতিবেদন::

ঢাকা: জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের জুলাই জাতীয় সনদ মেনে চলা এবং এর বাস্তবায়নের শপথ নেওয়া বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ নিশ্চিত করেছেন যে, এ প্রস্তাব ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন ঐকমত্য কমিশনের কাছে লিখিতভাবে জমা দেওয়া হয়েছে।

জামায়াতের প্রস্তাব অনুযায়ী, ‘প্রভেশিয়াল সাংবিধানিক আদেশ-২০২৫’ জারি করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নতুন শর্ত যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যে প্রার্থী জুলাই সনদ মানবে না বা এর বাস্তবায়নে হলফনামা দেবে না, তার প্রার্থিতা বাতিল হবে। একই সঙ্গে নির্বাচনে জুলাই সনদবিরোধী প্রচার চালালে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের বিধানও রাখা হয়েছে।

ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেন,

"জুলাই সনদ গণতন্ত্রের সুরক্ষার জন্য প্রণীত। বিপরীতে যা কিছু রয়েছে, তা গণতন্ত্রবিরোধী এবং ফ্যাসিবাদী। তাই রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের এই সনদ মেনে চলা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।"

জামায়াত আরও দাবি করেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান জনগণের ‘কন্সটিটুয়েন্ট পাওয়ার’ এর প্রকাশ, যা সংবিধান প্রণয়ন বা সংশোধনের ক্ষমতা প্রদান করে। এই ক্ষমতার মাধ্যমেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে এবং সাংবিধানিক আদেশ কার্যকর হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, নতুন সংবিধান প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে এবং আইনের সর্বোচ্চ মর্যাদা পাবে।

বিএনপি যদিও বলছে, সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের কোনো উপায় নেই, জামায়াত ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগেই সংবিধান সংস্কার এবং জুলাই সনদে থাকা ৮৪টি সংস্কার বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: